চুল পড়া কমবে মাত্র ৪৫ দিনে!

আপডেট: October 22, 2023 |

শহুরে ব্যস্ত জীবনে আমাদের চুল ও মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক অবস্থা, গুণমান ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা খুবই কঠিন। আর চুল ক্ষতিগ্রস্থ হলে তা সহজেই ঝরে পড়তে পারে। তবে সঠিকভাবে চুলের যত্ন নিলে চুল পড়া প্রতিরোধসহ চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। প্যারাসুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা কেয়ার সম্প্রতি একটি ক্যাম্পেইন শুরু করে, যেখানে একজন বিশেষজ্ঞ ট্রাইকোলজিস্ট (স্ক্যাল্প-চুল বিশেষজ্ঞ) পরিবেশ ও লাইফস্টাইল কীভাবে চুল পড়া সমস্যা সৃষ্টি করে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেন।

সেই ক্যাম্পেইনে অনেকেই তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, যেখানে তারা নিয়মিত চুলের যত্ন নিলেও তা কতটা কাজে আসছে সেই বিষয়ে ধারণা নেই বলে জানান। এমনকি চুলে নিয়মিত তেল দিয়েও তেমন ইতিবাচক ফল পাচ্ছেন না বলেও জানা যায়। ট্রাইকোলজিস্ট তাদের এসব সমস্যায় করণীয় এবং চুল ও স্ক্যাল্পের অন্যান্য সমস্যাগুলোর সমাধানে পরামর্শ দেন।

ট্রাইকোলজিস্ট বলেন, অনেকেই মনে করেন চুল ছোট থাকলে চুল পড়া কমে, কিন্তু ধারণাটি ভুল। তিনি আরও বলেন, নিষ্প্রাণ চুল ঝেড়ে ফেলা এবং নতুন চুল ওঠার ক্ষেত্রে প্রতি ২-৩ মাস পর পর ট্রিমিং স্প্লিট শেষ করতে হয়। যদি কারো অস্বাভাবিক হারে চুল পড়ে তাহলে তার যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা প্রয়োজন। স্ক্যাল্পকে সুস্থ রাখতে এবং চুলের যথাযথ পুষ্টি নিশ্চিত করতে চুলে তেল প্রয়োগের সময় চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে আঁচড়ে তেল দেওয়া ভালো, যাতে করে স্ক্যাল্পজুড়ে তেল পৌঁছাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, খাদ্যাভ্যাসের প্রতি নজর দেওয়া ও সতর্ক হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প ও মজবুত চুলের জন্য লাল মাংস, কফি ও চিনি এড়িয়ে চলা উচিৎ। খাদ্য তালিকায় কলা, ডিম, পালংশাক, বাদাম, গাজর, চর্বিযুক্ত মাছ ইত্যাদি খাবারযুক্ত একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট ফলো করা যেতে পারে।

তিনি শক্ত করে চুল বাঁধা বা স্টাইল না করার পরামর্শ দেন, বিশেষ করে শক্ত করে বেনী বা ঝুটি না করাই উত্তম। বরং একটু ঢিলে করে বেনী করলে চুলে কোন টান অনুভূত হয় না, যা চুলকে ভালো রাখে। এছাড়া, প্রতিদিন চুল আঁচড়ানোর সময় স্ক্যাল্পে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন নিশ্চিত করতে স্ক্যাল্প মাস্যাজ করা ভালো।

আশেপাশের দূষণের কারণে চুল নিস্তেজ হয়ে অপুষ্টিতে ভোগে, ফলে চুলের প্রাকৃতিক তেল হ্রাস পায়। তবে সঠিক যত্নের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তবে সাধারণ তেল ব্যবহার করে তেমন ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে না। তার পরিবর্তে এমন নারিকেল তেল ব্যবহার করতে হবে, যা অতিরিক্ত পুষ্টি জোগাবে আমলোকি, মেথি, অ্যালোভেরার মতো প্রাকৃতিক উপাদানের অতিরিক্ত পুষ্টির যোগান দিবে। আর সেক্ষেত্রে প্যারাস্যুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা কেয়ার হেয়ার ওয়েল ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।

চুলের সঠিক যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ সঠিক তেল ব্যবহার করে মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যেই চুল পড়া সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর