গণফোরামের ইফতারে আওয়ামী লীগ
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম দল গণফোরামের ইফতার পার্টিতে অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্ণেল ফারুক খান এতে অংশ নেন।
রোববার বিকালে রাজধানীর কাকরাইলের ঈসা খাঁ হোটেলে গণফোরামের পক্ষে দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন এই ইফতারের আয়োজন করেন।
একাদশ নির্বাচনের আগে গত অক্টোবরে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর এই প্রথম কোনো অনুষ্ঠানে আও্য়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি অংশ নিলেন।
ইফতারে বিএনপি নেতা আবদুল আবদুল মঈন খান, ফজলুর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাবিবুর রহমান তালুকদার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, বিকল্পধারা বাংলাদেশ এর শাহ আহমেদ বাদল, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মিলু চৌধুরী প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আইনজীবী ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনও ইফতারে ছিলেন।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমেদ, আফসারী আমিন আহমেদসহ নেতৃবৃন্দ ইফতারে অংশ নেন।
ইফতারে ফারুক খান বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এই মহতি অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগকে দাওয়াত করার জন্য। এখানে আমি আসার আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন যে, তিনি তার ব্যক্তিগত এবং স্বাস্থ্যগত কারনে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। তিনি(প্রধানমন্ত্রী ) আমাকে তার পক্ষ থেকে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের পক্ষে থেকে আপনাদেরকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’
‘‘ ইনশাল্লাহ আজকের এই ইফতার মাহফিলে আমরা দোয়া করব তিনি যেন আমাদের সকলকে আরো ভালোভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে এবং দেশের জনগনের জন্য কাজ করার তওফিক দান করেন। সবাইকে রমজানুল মোবারক ও ঈদ মোবারক।”
অনুষ্ঠানে শেষ দিকে ড. কামাল হোসেন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে ইফতারে অংশ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। তবে তিনি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেননি।