ঈদে আসছে উপমার ‘মেঘনা কন্যা’ সিনেমা

আপডেট: March 25, 2024 |

নারী পাচারকে কেন্দ্র করে গ্রাম ও শহরের দুই নারীর শেকল ভাঙার গল্প নিয়ে তৈরি ‘মেঘনা কন্যা’ সিনেমাটি এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে। এর নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী। আনোয়ার আজাদ ফিল্ম’স ও এস জে মোশনস পিকচার্স প্রযোজিত চলচ্চিত্রটির সহযোগিতায় আছে সুইজারল্যান্ড এবং টেলিভিশন পার্টনার দীপ্ত টিভি।

এতে এবার অভিনয় করেছে ছোট পর্দার জনপ্রিয় শিশু শিল্পী উপমা আহমেদ। সেখানে উপমার ভূমিকা ছিল খুশি চরিত্র। বাউলের দুই মেয়ে একজন হাসি ,আরেকজন খুশি। হাসি,খুশি ওরা দুই বোন। বড় বোনটি খুব সাংস্কৃতি মনা ছিল সে নাচতে ভালোবাসতো ,গাইতে ভালবাসত। গ্রামের চেয়ারম্যান এসব নাচ গান পছন্দ করত না তাই হাসিখুশি বাবার সংসার চালাতে খুব কষ্ট হতো। তাই একজনের প্ররোচনায় পরে চাকরির লোভ দেখিয়ে হাসিকে পাচার করা হয় ইন্ডিয়াতে। খুশি খুব প্রতিবাদী একটা মেয়ে বাউলের ছোট মেয়ে বাউলকে কেউ কিছু বললে খুশি প্রতিবাদ করে। এতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ, ফজলুর রহমান বাবু, সাজ্জাদ হোসাইন, সেমন্তি সৌমি, শতাব্দী ওয়াদুদ, মোহাম্মদ বারী, জয়শ্রীকর জয়া প্রমুখ।

সিনেমা সম্পর্কে উপমা জানায়, এই মুভিটি সবার দেখা উচিত এখনো আমাদের দেশে নারী পচার দিনের পর দিন হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও কিছু সংখ্যক মানুষ হত দরিদ্র দেখে বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে চাকরির লোভ দেখিয়ে এই কাজগুলো করে যাচ্ছে তাই এই মুভিতে যাতে প্রতিটা গ্রামে গ্রামে দেখানো হয় তাহলে গ্রামের মানুষগুলো আরো সচেতন হবে।

উপমা আরও বলে, এবার ঈদে বড় পর্দায় নিজেকে দেখতে পাবো এর আনন্দ বুঝানো যাবে না। আমি আমার চরিত্রটি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি বাকিটা দর্শক দেখে জানাবে। আমি চাই এরকম ভালো ভালো গল্পে কাজ করতে।

বর্তমান কাজের ব্যস্ততা সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিনেত্রী উপমা বলে, ২০২৫ এ আমার এসএসসি পরীক্ষা তাই এখন খুব কম কম কাজ করছি। তবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে মাসে দুটি উপস্থাপনা করছি নিয়মিত। নায়িকা বলতে আপনারা কি বুঝেন আমি জানিনা আমি মনে করি একটি গল্পের সঙ্গে মিশে যাওয়া যে গল্পটিতে আমি আমাকে ফুটিয়ে তুলতে পারবো সবাই যেন দেখে মনে হয় এই গল্পের জন্যই আমি এমন গল্পগুলোতে আমি কাজ করতে চাই। গল্প এবং ডিরেক্টর এই দুটো জিনিস দেখেই আমি প্রথমত কাজ করব। আমার কবিতা আবৃত্তি উপস্থাপনা এবং নাচ এই তিনটির পাশাপাশি আমি বিজ্ঞাপনে কাজ করছি নাটকে কাজ করছি। আমি মনে করি এখন আমি অনেক ছোট আমার বয়স অনুযায়ী যদি গল্পগুলো মিশে যায় তখনই আমি কাজ করব। আমি অভিনয়টাতে অনেক ভালবাসি অভিনয়ের সঙ্গে আমি মিশে যেতে চাই।

সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপমা জানায়, শুটিং সেটে  অনেক মজা হয়েছে।  একদম তাজা ইলিশ দেখেছি, তাজা তাজা মাছ খেয়েছি, শীতের দিন ছিল রাতে খেজুরের রস এনে দিত আমাদের পিঠা খেয়েছি। ওখানকার মানুষগুলো অনেক আপন হয়ে গিয়েছিল এখনো খুব মনে পরে তাদের। শুটিং টি বরিশাল উলানিয়াতে হয়েছে। ওখানকার মানুষ গুলো এতোটা অতিথি পরায়ণ সত্যি অবাক হয়েছি আমি। ঐ গ্ৰামটা একটা দ্বীপের মতো ছিলো চারদিকে মেঘনা নদী। আমরা শুটিংয়ের ফাঁকে খুব ঘুরে বেড়াতে যেতাম।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর