বায়তুল মোকাররমে ঈদের তৃতীয় ও চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত
এক মাস সিয়াম সাধনার পর বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করবেন দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ।
এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ঈদের আবহ।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় প্রথম, ৮টায় দ্বিতীয়, ৯টায় তৃতীয় ও ১০টায় ঈদুল ফিতরের চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান।
মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন ক্বারী মো. ইসহাক মুয়াজ্জিন। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম।
মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
তৃতীয় জামাতে ইমামতি করেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন।
মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী। চতুর্থ জামাতে ইমামতি করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী।
মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।
ঈদের নামাজের জামাত শেষে খুতবা পাঠ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বায়তুল মোকাররমে পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা পৌনে ১১টায়।
এতে ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান।
মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা।
ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।