শ্রীমঙ্গলে মোবাইল ফোন তুলতে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ৪ তরুণের মৃ/ত্যু


মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সেপটিক ট্যাংক থেকে মোবাইল তুলতে গিয়ে বিষক্রিয়ায় ৪ তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত আরও একজন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. প্রণয় কান্তি দাশ। এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিণছড়া চা বাগানে এই ঘটনা ঘটে।
ডা. প্রণয় কান্তি দাশ বলেন, ওদের একজনের মোবাইল সেপটিক ট্যাংকে পড়ে গিয়েছিল। এরপর ওই মোবাইল উদ্ধার করতে গিয়ে একে একে ৪ জন ট্যাংকে নামলে বিষক্রিয়ায় তারা মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতরা হলেন— রানা নায়ক (১৭), শ্রাবণ নায়েক (১৯), কৃষ্ণ রবিদাস (২০) এবং নিপেন ফুলমালি (২৭)। এরা সবাই শ্রীমঙ্গল হরিণছড়া চা বাগানের চা শ্রমিকের সন্তান।
এ ঘটনায় রবি বুনার্জী (২০) নামে আহত একজনকে জরুরি চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
হরিণছড়া চা বাগানের অধিবাসী সবুজ তজু জানান, বুধবার মধ্য রাতে তাদের বাগানের পশ্চিম লাইনের রানা পটনায়েক টয়লেটে গেলে এ সময় তার মোবাইল ফোনটি সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। সে তার ভাই শ্রাবন পটনায়েককে ডেকে মোবাইল ফোনটি তুলতে সেপটিক ট্যাংকে নামে। এ সময় সে উঠে না আসলে তার ভাই শ্রাবণ পটনায়েক নামেন। সেও উঠে না আসলে বাগানের অপর তিনজন নিতেশ ফুলমালি, কৃষ্ণা রবিদাশ ও রবিন্দ্র বুনার্জীও নামেন।
এরা কেউই উঠে না আসলে বাগানের অনান্য শ্রমিকরা মিলে দ্রুত তাদের সেফটি টেংকি থেকে তুলে রাত ১টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শ্রীমঙ্গল হাসপাতাল থেকে তাদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান চারজনকে ডাক্তার মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এর মধ্যে জীবিত রবিন্দ্র বুনার্জীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন পরে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শুনেছি এ ঘটনাটা। পরে পুলিশ হরিণছড়া চা বাগানের গিয়ে ওই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।