দেশে দক্ষ প্রকৌশলী না থাকায় বাইরের লোক এসে সড়ক বানায়: ফাওজুল কবির

আপডেট: August 25, 2025 |
inbound6303174813868701729
print news

মাসুদ পারভেজ , গাজীপুর প্রতিনিধি: বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আমাদের দেশে দক্ষ প্রকৌশলী না থাকায়,  বাইরে থেকে লোক এসে সড়ক- রেলপথ বানিয়ে দিয়ে যায়।

অথচ আমাদের দেশের বুয়েট থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার বের হয়। এটা অনেক লজ্জার বিষয়।

সুতরাং বিদেশিদের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশে দক্ষ প্রকৌশলী তৈরীর চেষ্টা করতে হবে।

তিনি রবিবার সকালে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় ভোগড়া থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার ঢাকা বাইপাস সড়কের ১৮ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, সেতু মন্ত্রণালয়ে একটি মাল্টিমডেল ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান হাতে নিয়েছে যেখানে সব পথকে আমরা একত্র করে দেখব।

সড়ক, রেল , নৌ পথ যেখানে যেটি উপযুক্ত সেখানে সেটি গুরুত্ব দেয়া হবে। ভুমি অধীগ্রহণ একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া, এখান থেকে বেরিয়ে অন্যান্য ট্রান্সপোর্টে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, আশেপাশের দেশের তুলনায় আমাদের সড়কের নির্মাণ ব্যয় বেশি। এছাড়া এটি দুর্নীতির একটি বড় ক্ষেত্র। এগুলো কমানো গেলে রাস্তায় নির্মাণ ব্যয় ২০-৩০ শতাংশ কমানো সম্ভব।

পরে উপদেষ্টা ফিতা কেটে মহাসড়কের টুল প্লাজা ও প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

এসময় তার সঙ্গে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন, পুলিশ কমিশনার ড.নাজমুল করিম খান, জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনসহ প্রকল্পের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরা জানান, পিপিপি ভিত্তিতে জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক ঢাকা-বাইপাস ৪-লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্লাটি গাজীপুরের ভোগড়া থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক প্রকল্প।

সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সড়কের ডিজাইন, বিল্ড, ফিন্যান্স, অপারেট এবং মেইনটেন্যান্স DBFOTমডেল অনুসরণে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, পূর্বাচল এক্সপ্রেস ওয়ে, ঢাকা-ময়মনসিংহ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত করে।

প্রকল্পের আওতায় রোববার ১৮ কিলোমিটার অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলো। প্রকল্পের নির্মাণকাজ আগামী বছরের জুন মাসে সম্পন্ন হবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

প্রকল্পের ফলে ঢাকা শহরে প্রবেশ ব্যতিরেকেই পণ্যবাহী যানবাহন কম সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর হতে ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে যাতায়াত করতে পারবে।

এতে একইসাথে ঢাকা শহরের যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ব্যবহারকারী ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর