ভিডিও দেখে নিজেই লিঙ্গ পরিবর্তনের চেষ্টা যুবকের

আপডেট: September 14, 2025 |
dsds 1
print news

অনলাইন ভিডিওতে দেখে নিজেই অস্ত্রপোচার করে লিঙ্গ পরিবর্তনের চেষ্টা যুবকের। ভিডিওতে দেখানো পদ্ধতি মেনেই লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া করে অস্ত্রোপচারের ছুরি দিয়ে নিজের যৌনাঙ্গটি কেটে ফেলেন। কিন্তু কিছুতেই আর রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পারায় প্রাণ সংশয়ে পরেছিলেন বলে জানিয়েছেন ঐ ২০ বছরের যুবক।

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের আমেঠি জেলার বাসিন্দা ওই যুবক।

সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আমেঠি জেলার বাসিন্দা ওই যুবক সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। একইসঙ্গে বহুদিন ধরে সযত্নে মনের মধ্যে লালিত বাসনাকেও বাস্তবায়নের পথ খুঁজচ্ছিলেন। অনলাইনে ভিডিয়ো দেখে নিজের উপর অস্ত্রোপচারের চরম পদক্ষেপ নেন তিনি। যদিও যুবকের দাবি, তিনি এ ব্যাপারে এক স্থানীয় চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন।

ওই যুভিডিও দেখে বক জানিয়েছেন, ভিডিয়োতে দেখানো পদ্ধতি মেনেই লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া করে অস্ত্রোপচারের ছুরি দিয়ে নিজের যৌনাঙ্গটি কেটে ফেলেন। কিন্তু তার পরে কিছুতেই আর রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারছিলেন না। এরই মধ্যে অ্যানাস্থেশিয়ার প্রভাবও কেটে যায়। ফলে মারাত্মক যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় তিনি আর থাকতে পারেন না। বাড়ি মালিকের সহায়তায় হাসপাতালে পৌঁছন। পারছিলেন না। এরই মধ্যে অ্যানাস্থেশিয়ার প্রভাবও কেটে যায়। ফলে মারাত্মক যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় তিনি আর থাকতে পারেন না। বাড়ি মালিকের সহায়তায় হাসপাতালে পৌঁছন।

পুরুষ দেহে আটকে এক নারীর আত্মা। বহুদিন ধরেই লিঙ্গ পরিবর্তনের কথা ভেবে আসছিলেন ২০ বছরের ওই যুবক। কিন্তু পারিবারিক বাধা ও সামাজিক লজ্জার বশবর্তী হয়ে চিকিৎসকের কাছে যাননি তিনি। বরং অনলাইনে এ সংক্রান্ত পদ্ধতি দেখে সেই ভাবে নিজে হাতেই নিজের উপর অস্ত্রোপচার করেন ওই যুবক। কিন্তু এমন দুঃসাহসিক পদক্ষেপে লিঙ্গ পরিবর্তন তো হয়নি বরং অত্যাধিক রক্তক্ষরণে তাঁর প্রাণ সংশয় তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন,  প্রথমে তার অবস্থা গুরুতর ছিল কিন্তু তাকে জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন স্থিতিশীল আছেন তবে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যথা এবং মানসিক আঘাতের সম্মুখীন হবেন। এই ধরনের চেষ্টা করার আগে, সাবধানে চিন্তা করা উচিত। লিঙ্গ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেডিক্যাল প্রসিডিওর রয়েছে। তার মাধ্যমেই কেবল এই রূপান্তর সম্ভব।

প্রকৃতি যা দিয়েছে তার সাথে লড়াই করার পরিবর্তে, এতে সুখ খোঁজা ভালো। বাবা-মায়ের উচিত অনলাইনে শিশুরা কী দেখে সে সম্পর্কে সতর্ক থাকা। প্রতিটি ভিডিও নিরাপদ নয়। ক্ষতিকারক কন্টেন্ট থেকে যুবকদের রক্ষা করা এবং সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া অপরিহার্য।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর