বগুড়ায় ইমামকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি ও হত্যারচেষ্টা: জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন


শাহজাহান আলী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুরে চাঁদার টাকা না পেয়ে উপজেলার শেরুয়া দহপাড়া করতোয়া জামে মসজিদের ইমাম নুর মোহাম্মদ (৫৫)- কে অপহরণের পর চাদার দাবি ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে স্হানীয় মুসুল্লিরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
১৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার) দুপুরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলাধীন শেরুয়া দহপাড়া করতোয়া জামে মসজিদের মুসুল্লিসহ স্হানীয় আরও দুটি মসজিদের মুসুল্লী ও এলাকাবাসী এই কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন,সম্প্রতি এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইমান নুর মোহাম্মদকে অপহরন করে ২০(বিশ) হাজার টাকা চাঁদ দাবি করেন সংঘবদ্ধ চক্রটির সদস্যরা। সেইসঙ্গে তাঁকে বেধড়ক মারপিটও করা হয় ।
উক্ত ঘটনার পেক্ষিতে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশের তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন,মাদক কারবারি ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হবে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের তালতা গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে মাওলানা নুর মোহাম্মদ বিগত পনের বছর ধরে শেরুয়া দহপাড়া করতোয়া জামে মসজিদের ইমাম হিসাবে দায়ীত্ব পালন করে আসছেন।
পাশাপাশি মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন।কিন্তু স্হানীয় মাদক কারবারি শাহ আলমের নেতৃত্বে বেশ করয়েকজন ব্যক্তি ইমাম নুর মোহাম্মদকে অপহরণ করে ২০ (বিশ) হাহার টাকা চাঁদা দাবি করেন।টাকা দিতে অস্বীকমতি জানালে তাঁকে বেধড়ক মারপিট করেন।
এসময় লোহার রড়ের আঘাতে তার পিঠে রক্তাক্ত জখম হয় এবং ডান পা ভেঙে গুরুতর আহত হন।পরে স্হানীয়দের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে ওই ইমামের ছেলে জাকারিয়া হোসেন বাদি হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞতানামা ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- শেরুয়া দহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম(৩৬), শাহাদৎ হেহেন(২৫), জাহিদুল ইসলাম (৪২), রাসেল (৪০),উজ্জল হোসেন (২৫), জনি(২২)। তবে পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
বিষয়টি শেরপুর থানার অফিস ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন এর নিকট হানতে চাইলে তিনি জানান,এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।