শীতকে বরণে প্রস্তুত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতি

আমিনা হোসাইন বুশরা, জাবি প্রতিনিধি: হিমালয়ের উত্তুরে বাতাস ধীরে ধীরে ঢেকে দিচ্ছে অগ্রহায়ণের পাকা ধানের ঘ্রাণ। এই কার্তিক অগ্রহায়ণের দেশে হেমন্তের শেষেই চুপিসারে আগমন ঘটে শীতের।
সবুজে ঘেরা প্রাণ প্রকৃতির ক্যাম্পাস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতিও যেন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে শীতকে বরণ করে নেয়ার জন্য।
ইতোমধ্যেই সকালেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে সকাল শুরু হয় সংস্কৃতির রাজধানী, বৈচিত্র্যময় জাহাঙ্গীরনগরে।
রাতে জমে উঠছে বাহারি পিঠার আসর। হালকা শীতে চাদর গায়ে, উষ্ণ পোশাক পরে শিক্ষার্থীরা রাতে একসঙ্গে বের হয় পিঠার স্বাদ নিতে।
এদিকে ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেছে জাহাঙ্গীরনগরের অন্যতম আকর্ষণ, শীতের অতিথি পাখি।
এবার অতিথি পাখির অভয়ারণ্যে তাদেরকে স্বাগত জানাতে ও নির্বিঘ্নে শীত কাটানোর ব্যবস্থা করতে সদ্য নির্বাচিত জাকসুর উদ্যোগে হচ্ছে লেক সংস্কার। অতিথি পাখিদের স্বাগত জানাতেও প্রস্তুত জাবি।
শীতের চোখজুড়ানো বিভিন্ন রঙের, বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারাগাছ দিয়ে পরিপূর্ণ ক্যাম্পাসটি।
কসমস, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদাফুল, ডালিয়া, সূর্যমুখী, ডেইজি, গোলাপের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে সেই বাহারি ফুলের সৌন্দর্যে সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে বোনা হয়েছে এসব ছোট্ট চারাগাছ।
পাতা ঝরা গাছের ডাল ছেঁটেও প্রস্তুত করা হয়েছে শীতের জন্য।
জাবির বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, “জাহাঙ্গীরনগরে সবসময়ই বিভিন্ন ঋতুতে, বিভিন্ন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
শীতকালের এই ভিন্ন রূপকে আমি খুব উপভোগ করি। আশেপাশের সব রুক্ষতা ছাপিয়ে জাবিতে আরও সুন্দর হয়ে ওঠে শীতের প্রকৃতি।”
আর কিছুদিনের অপেক্ষা। শীতের নানান রূপ, রঙ আর সৌন্দর্য বিলিয়ে দিতে যেন জাবির প্রাণপ্রকৃতি প্রতীক্ষায় আছে পৌষ-মাঘের শীতকে বরণ করে নেওয়ার।












