কোনো লক্ষণ নেই, অথচ পরীক্ষায় ধরা পড়ছে করোনা!

শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ নেই, অথচ পরীক্ষায় ধরা পড়ছে পজেটিভ। ভারতের কেরালা প্রদেশে দু’জনের শরীরে এমন উপসর্গ বিহীন করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। কেরালার রাজধানী থিরুভানানথাপুরাম থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের পাথানামথিট্টা জেলায় এই দু’জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর সেখানে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত দু’জনের মধ্যে একজনের বয়স ৬০ বছর। তিনি সম্প্রতি দুবাই থেকে পাথানামথিট্টা জেলায় আসেন। অপরজনের বয়স ১৯ বছর। তিনিও দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে কেরালায় আসেন। এই ঘটনা সামনে আসার পর রাজ্য প্রশাসন চিন্তায় পড়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে কেরালার সরকার।

পাথানামথিট্টা জেলার কালেক্টর পিবি নুহ বলেন, এটা অত্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার মতো খবর। এ ধরনের করোনা সংক্রমিতদের সংস্পর্শে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ মানুষ আসতে পারেন। তবে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো, এই দুজন ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ করলেও তাদের শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি; যা আরও ভীতিকর। পরে সতর্কতা হিসাবে পরীক্ষা করা হলে তাদের শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এর অর্থ হলো আমাদের আরও সতর্কতামূলক পন্থা অবলম্বন করতে হবে।

৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি গত ১৯ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায়নি। তারপরও উচ্চ ঝুঁকি কবলিত এলাকা থেকে দেশে আসছেন বিবেচনা করে তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ১৯ মার্চ থিরুভানানথাপুরামে আসেন তিনি। পরে সেখান থেকে সড়ক পথে বাড়িতে ফেরেন।

এছাড়া ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণী গত ১৫ মার্চ দিল্লি থেকে ট্রেনে যাত্রা শুরু করেন। একদিন পর ১৭ মার্চ থিরুভানানথাপুরামের এরনাকুলামে আসেন এই তরুণী। এরনাকুলাম থেকে তার নিজ বাড়িতে ফেরেন বাসে। তখন থেকে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন তিনি। পরে ৪ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তার শরীরে আগে থেকে কোনো লক্ষণ দেখা না গেলেও হাসপাতালে পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে।

পাথানামথিট্টা জেলার মেডিক্যাল অফিসার এন শীজা বলেন, সম্প্রতি উচ্চ ঝুঁকি কবলিত এলাকা থেকে ফিরেছেন অথবা ভ্রমণকারীদের সংস্পর্শে আসার কারণে ঝুঁকিতে আছেন; এমন ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষা শুরু করেছি। এমনকি যারা কোনো রাজ্যের বাইরে সফর করেননি তাদেরও পরীক্ষা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ভারতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৪ হাজার ৯০৮০ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৩৭ জন।

সূত্র: এনডিটিভি।

বৈশাখী নিউজবিসি