নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডার বিরুদ্ধে দুই নাগরিকের মামলা

আপডেট: April 19, 2020 |

নিউজিল্যান্ডে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশ লকডাউন করায় প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দেশটির দুই নাগরিক। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক লাভের স্বার্থে অর্থনীতির ক্ষতি করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ পদক্ষেপে তাদেরকে অবৈধভাবে বাসায় আবদ্ধ থাকতে বাধ্য করেছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার অকল্যান্ড হাইকোর্টে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুই ব্যক্তি মামলা করেন। তাদের দাবি, এই বিধিনিষেধ তাদেরকে অবৈধভাবে আটকে থাকতে বাধ্য করছে। তাই তারা ‘হাবিয়াস কর্পাসের’ অধীনে আদালতে একটি রিট আবেদন করেছেন। প্রকৃতপক্ষে কারাবন্দিরা বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে যে আইনি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে, তারাও সেটাই করেছেন। আদালত ওই দুই ব্যক্তিকে হাজির করার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, কর্মকর্তাদেরকে অবশ্যই তাদের আটকাবস্থার বৈধতা প্রমাণ করতে হবে।

কোভিড-১৯ সংক্রমণে নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত ১ হাজার ৪২২। ৮৬৭ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। দেশটিতে এখন লকডাউন চলছে।

মামলাকারী ওই দুই ব্যক্তি যুক্তি হিসেবে বলছেন, করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম হওয়া সত্ত্বেও তার তুলনায় দেশজুড়ে ‘লেভেল ফোর’ অর্থাৎ চতুর্থ স্তরের লকডাউন ঘোষণা করায় যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে তা কোনোভাবেই উপযুক্ত নয়

প্রথমজন ‘হোম ডিটেনশনে’ আছেন। বলছেন, এই লকডাউন ঘোষণার কোনো যৌক্তিক ভিত্তি আরডার্নের কাছে নেই। তিনি বিচারক ম্যারি পিটার্সকে বলেন, ‘গোটা বিষয়টাই হাস্যকর’ এবং এটা কোনো ‘প্যানডেমিক’ নয় এটা হলো ‘প্যানিক-ডেমিক’। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থনীতি ধ্বংস করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি আরডার্নকে ‘হিটলারের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন। দেশজুড়ে এই লকডাউন ঘোষণার বিষয়টিকে তুলনা করেছেন ‘হলোকাস্টের’ সঙ্গে। ‘একটা সমাজে বসবাসের গণতান্ত্রিক অধিকার আমি কাউকে হরণ করতে দেব না।’বলেন তিনি।

অপর মামলাকারী ব্যক্তির অভিযোগ, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতি হাসপাতালগুলো বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় কোভিড-১৯ রোগের তুলনায় অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ এখন বেশি মারা যাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা করেছেন তার নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে।’

বৈশাখী নিউজএপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর