আমাদের চেয়েও খারাপ অবস্থায় অনেক দেশ লকডাউন শিথিল করেছে

আপডেট: May 30, 2020 |

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের চেয়ে খারাপ অবস্থায় লকডাউন শিথিল করেছে। কেউ কেউ পুরোপুরি তুলে নিয়েছে। সামনে আরও কঠিন সময় আসছে। জীবনরক্ষার পাশাপাশি এই সময়ে দেশের অর্থনীতিও বাঁচাতে হবে। এই কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তার ওপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে।

শনিবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

করোনা সংক্রমণের মধ্যে চালু হওয়া যেসব গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধির শর্ত মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রোববার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলছে। সরকারি ছুটির সঙ্গে মিল রেখে বন্ধ থাকা গণপরিবহনও খুলতে যাচ্ছে। সোমবার থেকে সড়ক পরিবহন শুরু হচ্ছে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছে। আমরা সবাই মিলে ভালো থাকতে চাই। সামান্য উপেক্ষা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যে সব শর্ত বিআরটিএ তথা মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে সেসব শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালনে আমি নিজেদের স্বার্থেই যাত্রী সাধারণ, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনকে অনুরোধ জানাচ্ছি। এ সব শর্ত পালনের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ থেকে যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে হবে। যে সব পরিবহন সরকারি নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্বাস্থ্যবিধি তদারকিতে সরকারি নজরদারিসহ বিআরটিএর মোবাইল টিম কার্যকর থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না পরিবহন কিংবা টার্মিনাল করোনা সংক্রমের কেন্দ্রে পরিণত হোক। আমি টার্মিনাল কর্তৃপক্ষকে পুরো এলাকাজুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান তথা জীবাণুমুক্ত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

গণপরিবহন চলার ক্ষেত্রে শর্তগুলো তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাসসমূহে ৫০ ভাগ যাত্রী পরিবহন করা যাবে। অর্থাৎ অর্ধেক সিট খালি রাখতে হবে। যাত্রী ওঠানামার সময় সামাজিক দুরত্ব ও শারিরীক দুরত্ব মেনে চলতেই হবে। যাত্রী পরিবহন, শ্রমিক, চালক, চালকের সহকারী, কাউন্টার কর্মীর মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ টার্মিনাল এবং স্টেশনে সাবান ও পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে হাত ধোয়ার জন্য। ট্রিপ শুরু হওয়ার আগে ও পরে জীবানুনাশক স্প্রে করতে হবে। অনুমোদিত স্টেশন ছাড়া যেখানে-সেখানে বাস থামান যাবে না। যাত্রী ওঠানামা যত্রতত্র করা যাবে না।

সংক্রমণের বিস্তারে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রম অবনতিশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২২তম। সামনে কঠিন সময় আসছে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ঢালাও সমালোচনা না করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। সংকটের সাহসি কান্ডারি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সবার সঙ্গে আছেন। আল্লাহর অশেষ রহমত এবং সবার সহযোগিতায় আমরা ঘুরে দাঁড়াব ইনশাল্লাহ।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর