রাশিয়াই প্রথম আগামী সপ্তাহ থেকে ওষুধ প্রয়োগ শুরু করবে

আপডেট: June 2, 2020 |

প্রাণঘাতী করোনার থাবায় গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩,৭৭,৪৩৭ জনের। এর মধ্যে শুধুমাত্র রাশিয়াতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪,৮৫৫ জন। এদিকে করোনা নিরাময়ে দেশে-বিদেশে নানা গবেষণা চলছে। পরীক্ষাধীন ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও শুরু করেছে কিছু দেশ। তবে রাশিয়াই প্রথম আগামী সপ্তাহ থেকে রোগীদের পরীক্ষাকৃত ওষুধ দিতে শুরু করবে। সে জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদনও পেয়ে গিয়েছে তারা। অ্যান্টিভাইরাল ওষুধটির নাম রাখা হয়েছে ‘আভিফাভিয়ার’।

১১ জুন থেকে রোগীদের এই ওষুধ দেওয়া যেতে পারে বলে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাসে ৬০ হাজার জনকে ওই ওষুধের জোগান দিতে পারবে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা।

এই মুহূর্তে কোভিড-১৯’র কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। ‘গিলিড’র ওষুধ ‘রেমডেসিভিয়ার’ আশার আলো দেখাচ্ছে। কিন্তু সার্বিকভাবে ব্যবহারের ছাড়পত্র পায়নি। সামান্য কিছু দেশে অল্পসংখ্যক রোগীকে ওষুধটি দেওয়া হয়েছিল। সবাই সমান ফলও পাননি।

ইতিমধ্যেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চ্যাডক্স১’ নামে একটি প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানীদের দাবি, তাদের প্রতিষেধক সাফল্য পাবে। কিন্তু সে সব শেষ হতে দেরি আছে।

‘আভিফাভিয়ার’ ওষুধটির জেনেরিক নাম ‘ফাভিপিরাভিয়ার’। ১৯৯০’র শেষের দিকে সেটি তৈরি করে জাপানের একটি সংস্থা। আরএনএ ভাইরাস প্রতিরোধে ভালো কাজ দেয় ওষুধটি।

‘রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’র প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ জানিয়েছেন, ‘ফাভিপিরাভিয়ার’র ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে নতুন ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে। এর গুণাগুণ কী বাড়ানো হয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে তা প্রকাশ করবে মস্কো।

জাপানেও এই ওষুধটির প্রয়োগ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সেখানে এর নাম ‘আভিগান’। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এক প্রকার অনুমোদনও দিয়ে ফেলেছেন এবং এই খাতে ১২ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার সরকারি তহবিল থেকেও দিয়েছেন। কিন্তু রোগীদের উপর প্রয়োগের ছাড়পত্র এখনও মেলেনি।

ওদিকে করোনার সঙ্গে যুঝতে মাসখানেক আগে ভারত থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (এইচসিকিউ) চেয়ে পাঠায় আমেরিকা। এ দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ এইচসিকিউ পাড়িও দেয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে। এ বার আমেরিকা ২০ লক্ষ ডোজ়ের এইচসিকিউ পাঠাল ব্রাজ়িলে। আজ বিবৃতি দিয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ কথা।

অসংখ্য করোনা-গবেষণার মধ্যে একটি এখন দাবি করছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০০ মিটার উচ্চতায় যারা থাকেন, তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার কম দেখা যাচ্ছে। ‘রেসপিরেটোরি ফিজ়িয়োলজি অ্যান্ড নিউরোবায়োলজি’তে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর