চীনের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে যে ‘ভয়ঙ্কর’ তথ্য দিল যুক্তরাষ্ট্র
চীন তার পরমাণু অস্ত্র আগামী এক দশকের মধ্যেই দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে, এমনটাই দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের। চীনের সামরিক শক্তি সম্পর্কে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন মঙ্গলবার প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ দাবি করে।
পেন্টাগনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন তার পরমাণু অস্ত্র আধুনিকায়নের পাশাপাশি ক্রমেই বাড়াচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আগামী এক দশকের মধ্যেই চীনের পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ হবে।
এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে চীনের কাছে ২০০ পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চীন সরকার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা অনেক বেশি বাড়াবে, যা আমেরিকার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দেবে। এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু ওয়্যারহেড বহনে সক্ষম বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
পেন্টাগনের প্রতিবেদন বলছে, চীন এরই মধ্যে জাহাজ নির্মাণ, ভূমিভিত্তিক কনভেনশনাল ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও সমন্বিত বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থাসহ সামরিক সরঞ্জামাদি আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে আমেরিকার সমকক্ষ হয়েছে, অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমেরিকাকে ছাড়িয়ে গেছে।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এসোসিয়েশনের নিরস্ত্রীকরণ এবং ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিভাগের মহাপরিচালক কিংস্টন রিফ পেন্টাগনের প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেছেন, এই প্রতিবেদনে চীনের পরমাণু অস্ত্র সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা যদি সত্য হয় তাহলেও রাশিয়া এবং আমেরিকা চীনের চেয়ে তখনো পরমাণু অস্ত্রের দিক দিয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাধর থাকবে।
তিনি বলেন, চীনের পরমাণু অস্ত্র সম্পর্কে অতিমাত্রায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন অস্ত্র প্রতিযোগিতা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেয়া যাবে না। খবর বার্তা সংস্থা এপি।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা