২৬ সদস্যের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স গঠন

আপডেট: October 23, 2020 |

বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মহামারি করোনাভাইরাস থেকে উত্তরণে ভ্যাকসিন পাওয়ার পর তার ব্যবস্থাপনা এবং সবার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে । ২৬ সদস্যের এই টাস্কফোর্সের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালিককে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (জনস্বাস্থ্য) টাস্কফোর্সে আহ্বায়ক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর এমএমসি অ্যান্ড এইচকে (ইপিআই) সদস্য সচিব করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জনস্বাস্থ্য-২ অধিশাখা উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই কমিটি গঠন করা হয় বলে শুক্রবার নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা ভ্যাকসিন চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের প্রাপ্তি নিশ্চিত হলে দেশের জনগোষ্ঠীকে সরবরাহ করতে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী সংক্রান্ত তথ্য, ভ্যাকসিন প্রয়োগসংক্রান্ত সরঞ্জাম, জনবল, কোল্ড চেইন ধারণক্ষমতা, প্রশিক্ষণ, পরিবহন ব্যবস্থা ও বাজেট ইত্যাদি বিষয়ে নিড অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং সুষ্ঠুভাবে করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এই কমিটি গঠিত হয়।

২৬ সদস্যের টাস্কফোর্স কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব। সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন -পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক/প্রতিনিধি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের (যুগ্ম সচিব), অর্থ মন্ত্রণালয়ের (যুগ্ম সচিব), স্থানীয় সরকার বিভাগ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (যুগ্ম সচিব), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (যুগ্ম সচিব), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সিডিসি), পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক আইইডিসিআর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি (জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ) অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এপিআই এমএমসি অ্যান্ড এ এইচ (প্রোগ্রাম ম্যানেজার), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি, ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ প্রতিনিধি, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ প্রতিনিধি, ইউএসএআইডি বাংলাদেশ প্রতিনিধি, ডিএফআইডি বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা-বাংলাদেশ প্রতিনিধি।

করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্সের কর্মপরিধি সম্পর্কে বলা হয়, এই কমিটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তির রোডম্যাপ তৈরি ও বাস্তবায়ন কর্মকৌশল প্রস্তুত করবে। এছাড়াও কর্মপরিধির মধ্যে রয়েছে: ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করে কৌশল ও নীতিমালাসংক্রান্ত সুপারিশ অনুসারে ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে উচ্চতর ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার প্রদানের মাধ্যমে জনগোষ্ঠী নির্ধারণ করা। ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য সকল স্তরে আবশ্যকীভাবে কোল্ড চেইন ধারণ ক্ষমতা মূল্যায়ন করা। ভ্যাকসিন প্রদানের সঙ্গে জড়িত নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম মনিটর করা, ভ্যাকসিন কার্যক্রম সফল করতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন করা, ভ্যাকসিন সেইফটি মনিটরিংয়ের জন্য মেকানিজম প্রতিষ্ঠা করা, ভ্যাকসিন আমদানি ও ফিল্ডে ডেপ্লয়মেন্টের জন্য রেগুলেটরি নিড চিহ্নিত করা এবং ভ্যাকসিনের জন্য মোট বাজেট এবং কী পরিমাণ ব্যক্তির প্রয়োজন হবে তার প্রাক্কলন করা।

বৈশাখী নিউজ/ফারজানা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর