পুলিশের সক্ষমতা বাড়ায় জনগণ সর্বাধিক সেবা পাচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সময়: 9:05 pm - November 4, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 6 বার

পুলিশের সক্ষমতা বেড়েছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব‍্যবহার করছে বলেই জনগণ পুলিশ থেকে সর্বাধিক সেবা পাচ্ছে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘দক্ষ, প্রযুক্তি নির্ভর ও জনবান্ধব পুলিশ গড়াই সরকারের লক্ষ‍্য। ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় এক হাজার পুলিশ কার্যালয়ে স্থাপিত ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) সংযোগ পুলিশের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করবে।’

বুধবার সকালে জুম প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তুলতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্িত অবকাঠামো উন্নয়ন (ইনফো সরকার-৩ পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত ভিপিএন সংযোগ হস্তান্তর ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ‍ পলক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব অংশ যুক্ত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভিপিএন কানেক্টিভিটি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ের গোপনীয়তা নিশ্চিতকরণসহ নির্ভুল তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে সকল সেবা সঠিকভাবে জনগণের নিকট পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভিপিএন প্রকল্পের মাধ্যমে স্থাপিত ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) অবকাঠামোটি বাংলাদেশ পুলিশের অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় তথ্যের নিরাপত্তা ও সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে।

বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের ব্যবহারের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধ দমনসহ জনগণকে সেবা দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করছে, যোগ করেন মন্ত্রী।

প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ পুলিশের এক হাজারটি কার্যালয়ে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) সংযোগ স্থাপন কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ এসব কার্যালয়গুলোতে ৫ এমবিপিএস হারে ডাটা ব্যান্ডউইথ দেয়া হবে। যা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পসমূহের অন্যতম ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায় প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন আছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৬০০টি ইউনিয়নে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।

প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে দেশের ৬০ ভাগ ভৌগলিক এলাকার প্রান্তিক গ্রামীণ জনপদের প্রায় ১০ কোটি জনগণের উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ২০২১ সালে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহক ২.২৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে উন্নীত হবে। এর ফলে জিডিপি এক শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর