আদাবরে পুলিশ হত্যা মামলায় এক চিকিৎসক গ্রেফতার

আপডেট: November 17, 2020 |

রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপন হত্যার ঘটনায় আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকার সরকারি মানসিক হাসপাতালের রেজিস্ট্রার বলে জানা গেছে।

এএসপি শিপন হত্যা মামলায় আদালতে দেয়া আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তার নাম উঠে আসার পর আজ মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও বিভাগ পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার হলেন। গত ৯ নভেম্বর বেলা ১১টায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বরিশাল মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার আনিসুল করিম শিপন। পরদিন এ ঘটনায় তার বাবা ফয়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলা করেন।

অন্যান্য গ্রেফতাররা হলেন- মামলায় মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় (৩৫), কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন শেফ মাসুদ (৩৭), ওয়ার্ড বয় জুবায়েত হোসেন (১৯), ওয়ার্ড বয় তানভীর হাসান (১৮), ফার্মাসিস্ট তানিফ (২০), ওয়ার্ড বয় সঞ্জীব চৌধুরী (২০), ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল (২৪), ওয়ার্ড বয় লিটন আহাম্মদ (১৮) ও ওয়ার্ড বয় সাইফুল ইসলাম পলাশ (৩৫)।

হত্যাকাণ্ডের শিকার আনিসুল করিম শিপন ঢাকা বোর্ডের অধীনে ২০০০ সালে এসএসসি ও ২০০২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে প্রাণরসায়নে এমএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ১৯৮৪ সালের ২১ নভেম্বর গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন শিপন।

৩১তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে দ্বিতীয় স্থান পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন তিনি। চাকরিকালীন শিপন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‌্যাবসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রসঙ্গত, বরিশাল মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার আনিসুল করিম শিপন মানসিক চিকিৎসার জন্য গত সোমবার রাজধানীর আদাবরের ওই হাসপাতালে যান। কিন্তু চিকিৎসার বদলে সেখানে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

বৈশাখী নিউজ/ ফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর