২ রানে রাজশাহী মিনিস্টার একাদশের জয়
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রাজশাহীর রান যখন ৫ উইকেটে ৬৫, তখন ক্রিজে আসেন মেহেদী। এরপর ৩২ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তাকে সঙ্গ দেওয়া কাজী নুরুল হাসান সোহান ২০ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় করে ৩৯ রান। দুইজনের ব্যাটিংয়ে ঢাকার বিপক্ষে রাজশাহী ৯ উইকেটে তোলে ১৬৯ রান।
জবাবে রোমাঞ্চকর ম্যাচে ১৬৭ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা। ২ রানের জয়ে ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ স্পন্সরড বাই ওয়ালটন’ দারুণ শুরু করলো রাজশাহী।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও মেহেদী রাখেন অবদান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ঢাকাকে ৯ রান করতে হতো। মেহেদীর প্রথম তিন বলে ব্যাটই লাগাতে পারেননি মুক্তার আলী। চতুর্থ বলে স্লগ করে চার হাঁকালেও পঞ্চম বল আবারও ডট। কিন্তু পায়ের নো বলে ঢাকা বাড়তি আরও একটি বল পায়। ফ্রি হিট ও পরের বলও কাজে লাগাতে ব্যর্থ মুক্তার।
লক্ষ্য তাড়ায় ঢাকা শুরুতে হারায় ইয়াসির আলী রাব্বিকে। মেহেদীর বলে এলবিডব্লিউ হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর নাঈম ও তানজিদের দারুণ ব্যাটিংয়ে রাজশাহীর পেসাররা এলোমেলো হয়ে যায়। দুই বাঁহাতির আগ্রাসনে পাওয়ার প্লেতে ঢাকা তোলে ৫২ রান। আরাফাত সানি বোলিংয়ে এসে নাঈমকে ফেরান ২৬ রানে। তানজিদ ১৮ রানে রান আউট হন।
এরপর মুশফিকুর রহিম ও আকবর আলীর দারুণ জুটি গড়ে দলের জয়ের সম্ভাবনা জাগান। আকবর খোলস থেকে বেরিয়ে দারুণ ব্যাটিং করেন। মুশফিক দিচ্ছিলেন দায়িত্বশীলতার পরিচয়। কিন্তু এক ওভারের ব্যবধানে দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ঢাকা পথ হারায়। ফরহাদ রেজাকে তুলে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ২৯ বলে ৩৪ রান করা আকবর। পরের ওভারে ইবাদতকে স্কুপ খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৩৪ বলে ৪১ রান করা মুশফিক।
মুশফিকের বিদায়ের পর ১৭ বলে ৩৬ রান লাগতো ঢাকার। ওই ওভারে ৬ রান তোলেন দুই নতুন ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান ও মুক্তার। তবে ১৯তম ওভার দারুণভাবে কাজে লাগান তারা। ফরহাদ রেজাকে মিড উইকেট, ডিপ মিড উইকেট ও লং অন দিয়ে তিনটি ছক্কা হাঁকান মুক্তার। ১৯তমও ওভারে ২১ রান পায় ঢাকা। তাতে শেষ ওভারে ছড়ায় রোমাঞ্চ। ঢাকার জন্য ৯ রান মামুলী হলেও মেহেদী রাঙান শেষটা। মাত্র ৬ রান দিয়ে ম্যাচটা নিজের করে নেন। ডানহাতি অফস্পিনার পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।
বৈশাখী নিউজ/ বিসি