যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশেষ উদ্বেগজনক রাষ্ট্র’র তালিকায় মিয়ানমার-পাকিস্তান-চীন

আপডেট: December 8, 2020 |

নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণকারি রাষ্ট্রের তালিকায় স্থান পেল মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, ইরিত্রিয়া, ইরান, নাইজেরিয়া, উত্তর কোরিয়া, সৌদি আরব, তাজিকিস্তান এবং তুর্কিমিনিস্তান।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা এ্যাক্ট-১৯৯৮’ অনুযায়ী ৭ ডিসেম্বর সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল পম্পেও এই তালিকা প্রকাশ করেন। এগুলোকে ‘বিশেষভাবে উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব দেশের নাগরিকেরা নিজ নিজ ধর্মবিশ্বাসের কোন কাজই করতে পারেন না বলে সরেজমিন অনুসন্ধানে নিশ্চিত হয়েছে মার্কিন প্রশাসন। অর্থাৎ ‘রাষ্ট্রসমূহের সরকার তার নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত দূরের কথা, উল্টো আচরণ করছে, যার ফলে নাগরিকের বিরাট একটি অংশ প্রাণের ভয়ে দেশত্যাগ কিংবা নিজ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন’।

এ তালিকা প্রকাশ উপলক্ষে প্রদত্ত বিবৃতিতে মাইক পম্পেও কমোরোজ, কিউবা, নিকারাগুয়া এবং রাশিয়াকে ‘বিশেষ নজরদারির তালিকা’য় রাখার কথা বলেছেন। এসব দেশের সরকারও নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় বেশ কয়েক দফা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

আল-শাবাব, আল-কায়েদা, বোকো হারাম, হায়াত তাহরির আল-শ্যাম, দ্য হুতিস, আইসিস, আইসিস-গ্রেটার সাহারা, আইসিস-ওয়েস্ট আফ্রিকা, জামাত নাসের আল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন এবং তালেবান কে ‘বিশেষ উদ্বেগজনক’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ২০১৬ সালে প্রণীত ফ্র্যাঙ্ক আর ওউল্ফ ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম এ্যাক্ট’র আওতায়।

সুদান এবং উজবেকিস্তান সরকার গত বছর তার দেশের নাগরিকের ধমীয় স্বাধীনতা সুরক্ষায় অনেক আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণ করায় ‘বিশেষ নজরদারির তালিকা’ থেকে দেশ দুটির নাম মুছে ফেলা হয়েছে। অপরদিকে আরব সাগর অঞ্চলের আল-কায়েদা এবং আইসিস-খোরাসান’কে নতুন কোন বিশেষণে অভিহিত না করে চরমপন্থি এবং সন্ত্রাসী গ্রুপ হিসেবে এ দুটি সংস্থাকে চিরতরে নিমূলের সংকল্প ব্যক্ত করে বলা হয়েছে যে, এ কঠিন দায়িত্বটি সম্পন্ন না করে আমেরিকা স্বস্তি পাবে না।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর