পুলিশ ভেরিফিকিশন ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইনে দেয়া হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: December 12, 2020 |

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। পুলিশে সাইবার ক্রাইম ইউনিট গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে অনলাইনে জিডি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা ও ময়মনসিংহে ৫টি থানায় এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৮৮২টি অনলাইন জিডি করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ ভেরিফিকিশন ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইনে দেয়া হচ্ছে। জেলখানায় আসামিদের ডাটাবেজ করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটোরিয়ামে দেশব্যাপী ৪র্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্টমন্ত্রী। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দপ্তরের আয়োজনে ‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারটি ভার্চুয়াল ও ভৌত কাঠামোর সংমিশ্রণে অনুষ্ঠিত হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপাের্ট চালু হয়েছে ও স্বয়ংক্রিয় ই-গেট উদ্বোধন হয়েছে । জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে শুধুমাত্র মোবাইল ফোন কল অথবা অ্যাপ ব্যবহার করে যেকোন স্থানে যেকোন পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেবাসহ বিভিন্ন জরুরী সেবা গ্রহণ সম্ভব। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রে এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দৃশ্যমান।
জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, গত ১২ বছরে জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া লেগেছে। গত ১০ বছরে আইসিটি খাতে বাংলাদেশে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে রুপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছেন। এই রুপকল্প বাস্তবায়নে চারটি স্তম্ভ বা পিলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টারনেটের সংযোগ দেওয়া, ই-গর্ভন্যান্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্প খাত গড়ে তোলা।
 প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা খুবই দুরহ একটি কাজ হলেও সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জনগণকে সচেতন করে কাজটি করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রমে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করে যাচ্ছে। প্রাণসংহারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে। এরই মধ্যে ভাইরাস প্রতিরোধে আইন- শৃঙ্খলা সহায়তা এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণে সেল গঠন করেছে। দেশের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ বাহিনী বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। সেই সঙ্গে বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণেও পুলিশের নজরদারি রয়েছে। করোনা মহামারিতে সামনের সারিতে কাজ করতে গিয়ে পুলিশের এ পর্যন্ত ৮০ জন সদস্য মারা গেছেন।
মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি সেবা প্রদান, রক্ষণাবেক্ষণ, উপযুক্ত অবকাঠামো সৃষ্টিতে সহায়তা প্রদান, মানবসম্পদ উন্নয়নে আইসিটি বিভাগ অনিস্বীকার্য অবদান রেখে চলেছে। ২০২১ সাল ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পৌঁছানোর বছর। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো। এই তাৎপর্যপূর্ণ বছরে আমাদের তরুণরা আরো নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা নিয়ে। হাজির হবে এবং দেশকে উন্নয়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে নিবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
Share Now

এই বিভাগের আরও খবর