কোভিড রিলিফ বিলে স্বাক্ষর করলেন না ট্রাম্প

আপডেট: December 27, 2020 |

আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে তাকে। কিন্তু তার আগে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যে যার জেরে বিপাকে পড়লেন প্রায় দেড় কোটি মার্কিনি।

করোনা আবহে কাজ হারিয়েছেন বা আর্থিক সংকটে ভুগছেন সেদেশের অসংখ্য তরুণ-তরুণী। তাদের জন্যই প্রথমে সম্মতি দিয়েও পরবর্তীতে ২.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মহামারি মোকাবিলা বিলে সই করলেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যা নিয়ে এবার রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে মার্কিন মুলুকে। হতাশ অনেকেই।

চলতি বছরের শুরুতেই করোনার গ্রাসে চলে যায় পুরো বিশ্ব। সংক্রমণ রুখতে শুরু হয় লকডাউন। বন্ধ হয়ে যায় সব কিছু। গৃহবন্দি হয়ে পড়েন সাধারণ মানু্ষ। পুরো বিশ্বের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও কাজ হারান অনেকে। বেকার হয়ে পড়া যুবক–যুবতীদের সঞ্চয়ও ফুরিয়ে আসতে থাকে। অনেকেই ধারদেনাও করেন। এই অবস্থায় তাদের সাহায্যের জন্য এই বিল আনার কথা ভাবা হয়। এতে মার্কিন বেকার যুবক–যুবতীরা ৬০০ ডলার করে মাসে আর্থিক সাহায্য পেতে পারতেন।

দীর্ঘদিন তর্ক-বিতর্কের পর রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক দল মহামারি সাহায্যকল্পের এই তহবিলে সম্মত হয়। আপত্তি জানাননি ট্রাম্পও। কিন্তু এখন আচমকাই তার মনে হয়েছে এর বিলে বিশেষ স্বার্থ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং বিদেশে আর্থিক সাহায্যের জন্য অত্যধিক অর্থ খরচ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তার দাবি, ৬০০ ডলার নয়, সবাইকে ২০০০ ডলার দিতে হবে। যদিও বিল পাসের সময় এই বিষয়ে কিন্তু কিছুই বলেননি। তাই তার সই না করার সিদ্ধান্তে ডেমোক্রাটিকরা তো বটেই, অবাক হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরাও।

মার্কিন শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিলে স্বাক্ষর না হওয়ায় বঞ্চিত হলেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ নাগরিক। তবে ভেটো প্রয়োগ করে তিনি এই বিল পাসের সম্ভাবনা একেবারে বাতিল করে দেননি। পরবর্তীতে সই করেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়। সূত্র: রয়টার্স

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর