ক্ষতিগ্রস্ত বন পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে : পরিবেশ মন্ত্রী

আপডেট: December 30, 2020 |

পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের পর্যায়ক্রমে ভাসানচরে স্থানান্তরের ফলে যেসব জায়গা উন্মুক্ত হচ্ছে, সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হবে। রোহিঙ্গা বসতিসহ কক্সবাজার জেলার অন্যান্য স্থানে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃক্ষরোপণের জন্য বন অধিদফতরের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত বন পুনঃসৃজনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বন পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপি’র বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ভার্চুয়ালি আয়োজিত মাসিক সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সভায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. মো. বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ, কে, এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন দফতরের প্রধানরা ও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা অংশ নেন। সভায় সবাই চলমান প্রকল্পগুলো যথাসময়ে যথানিয়মে সম্পন্ন করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

কক্সবাজার জেলায় সবুজ বেষ্টনী তৈরি, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার এবং ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল সরকার বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বর্তমানে বিচ্ছিন্নভাবে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদেরই শুধু স্থানান্তর করা হচ্ছে। ফলে দৃশ্যমান স্থান এখনও খালি হয়নি। আরও বেশি রোহিঙ্গা স্থানান্তরিত হওয়ার পর জায়গা উন্মুক্ত হলে, সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হবে।’

তিনি জানান, এ প্রকল্পের মাধ্মে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমের আওতায় এক হাজার হেক্টর, প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় ৫শ’ হেক্টর বন তৈরি করা হবে। এছাড়া দেশীয় প্রজাতির দীর্ঘ মেয়াদি বাগান তৈরির কর্মসূচির আওতায় ৪শ’ হেক্টর , ঝাউ বাগান ২শ’ হেক্টর, নারিকেল চারা ১২ হাজার, শোভাবর্ধনকারী চারা ৫ হাজার, স্ট্রিপ বনায়ন ৫ কিলোমিটার, হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের ইকো-ট্যুরিজম সুবিধার উন্নয়ন করা হবে।

 

বৈশাখী নিউজইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর