মংলাবন্দর থেকে সরাসরি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে রেল চলাচল করবে : রেলপথ মন্ত্রী
দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারনের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাবান্ধা থেকে ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল চলাচল করবে। পরে ভূটান, নেপাল এবং ভারতের সিকিমের সাথেও রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে চতুর্দেশীয় ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি বহুমাত্রিক উন্নয়ন ঘটবে। মংলাবন্দর থেকে সরাসরি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে রেল চলাচল করবে। রেল যোগাযোগে ঘটবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এ নিয়ে মহা পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বুধবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল যোগাযোগ নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সূজন। তিনি বলেন বাংলাদেশের জনগণের পাশাপাশি ভারতের জনগণও এই রেলপথ চায় । তাই এটা একটা সুযোগ। তিনি বলেন পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল লাইনের প্রার্থমিক নকশা তৈরী হয়েছে। বাজেটও তৈরী করা হয়েছে। তিনি বলেন ভৌগলিক ভাবে পঞ্চগড় অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং পর্যটনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা। রেলপথ মন্ত্রী জানান পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারন করতে ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়া প্রায় ২ হাজার ৭শ কোটি টাকা খরচ হবে। চারটি নদীতে চারটি বড় সেতু নির্মাণ করা হবে। ২ টি মাঝারি আকারের সেতু সহ ১২ টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। সভা শেষে মন্ত্রী পরে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত সম্ভাব্য রেল ষ্টেশনের জায়গা পরিদর্শন করেন।
জেলা প্রশাসক ড.সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড় ১ আসনের সংসদ সদস্য মজারুল হক প্রধান। এছাড়া পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা রেল লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিঞা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান, আব্বাস আলী, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল লতিফ তারিন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রি রেজিয়া ইসলাম ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা