ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও কিছু জানে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী কয়েকমাস ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারবে না ভারতীয় কোন প্রতিষ্ঠান। সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদার পুনাওয়ালা ভারত সরকারের দেয়া এমন শর্তের কথা মার্কিন সংবামাধ্যম এপিকে জানিয়েছেন।
ভারত সরকারের এই নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের টিকা পেতে কি প্রভাব পড়বে তা এখনও নিশ্চিত নয়।
রবিবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া।
যদিও দুটি টিকাই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপ পার হয়নি এখনো। পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেকটা তাড়াহুড়ো করেই জরুরি ব্যবহারে টিকার অনুমতি দিলো ভারতীয় প্রশাসন।
তবে রবিবার রাতেই বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনাওয়ালা সংবামাধ্যমে বললেন, আপাতত ভারতের বাইরে ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারবে না কোন প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বেসরকারিভাবেও ভ্যাকসিন বিক্রি করতে পারবে না কেউ।
আদার পুনাওয়ালা আরো বলেন, এসব শর্তেই রবিবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মোদি প্রশাসন।
আদার পুনাওয়ালা আরো বলেন, প্রথম দশ কোটি ডোজ প্রতিটি ২০০ রুপি দামে সরকারকে দেয়া হবে। ভারত সরকারের এ পদক্ষেপে গ্যাভি, সেপিরমত সংগঠনগুলোর ভ্যাকসিন সংগ্রহ অনিশ্চয়তায় পড়েছে। ওই সংগঠনগুলো অনুন্নত দেশে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়ে থাকে।