আগামীকাল কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৭ তম জন্মবার্ষিকী
আগামীকাল ২৫ জানুয়ারি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৭ তম জন্মবার্ষিকী। করোনা কারণে এবার সাতদিন ব্যাপী মধুমেলা হচ্ছে না। আগামীকাল বিকেলে অল্প সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন জানিয়েছেন, এবার মধুসূদন জন্মজয়ন্তীতে বাইরের কোন অতিথিও আসবেন না। জেলা প্রশাসক জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন প্রধান অতিথি হিসেবে।
প্রতিবছর মধুকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কবির জন্মস্থান কেশবপুরের সাগরদাঁড়ির মরা কপোতাক্ষ নদের তীরে সাতদিন ব্যাপী মধুমেলা চলে। আর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ সাতদিন ব্যাপী মধুমঞ্চে বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় থাকতেন দেশে বড় বড় মন্ত্রী, এমপি, কবি, সাহিত্যিকগন। পাশাপাশি চলত সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানসহ যাত্রা, সার্কাস, পুতুল নাচ, জারী সারী ভাটিয়ালি গানের আসর। হাজার হাজার মধুভক্তের আগমনে সাতদিন ব্যাপী মুধকবির বাড়ি থাকত মুখরিত।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মগৃহ কেশবপুরের সাগরদাঁড়ি জমিদার বাড়ির মধুপল্লীতে সাতদিন ব্যাপি মধুমেলায় আবাল বৃদ্ধ বনিতাসহ দেশ বরেন্য ব্যক্তিদের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছিল। কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, রাজনৈতিক নেতাসহ সকল স্তরের লোকের মিলন ঘটে মধুপল্লীর প্রায় ৪ বর্গ কিলোমিাটর জুড়ে। কৃষক-কিষানী, দিনমজুর, ব্যবসায়ী সকল ধর্ম বর্নের লোকের আগমনে কবির শৈশব স্মৃতি বিজড়িত সাগরদাঁড়ির আম্রকানন, কপোতাক্ষের বিদায় ঘাট, পদ্ম পুকুর, জমিদার গৃহ, মধু পল্লী, মধু মঞ্চ, বিশাল খোলা মাঠ জনারন্যে ভরে উঠে। হৃদয় ছোয়া উঞ্চতায় মধুকবিকে স্বরন করে মধুভক্তরা। বাঙালীর মহামিলনের আবেশে সারা বছর মধুভক্তের আগমন থাকলেও কবির জন্ম জয়ন্তী ২৫ জানুয়ারি ঘিরে চলে সারা বছর ধরে এলাকবাসীর প্রস্তুতি। মধুমেলায় সাতদিন ব্যাপী লোকসমাগমে তিল ধারনে ঠাই থাকে না। মেলার চারপাশের রাস্তায় ৪/৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।