যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন ও ভারত

আপডেট: February 9, 2021 |

পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চলছে লাগাতার বৈঠক। এখনও পর্যন্ত ন’ দফা বৈঠক হয়েছে। তাতে কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি। সেনাসংখ্যা কমানো এবং সেনা অপসারণ করা নিয়ে একমত হতেই পারছে না দুই দেশের সেনাবাহিনী। এই অবস্থায় লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে বিপুল রকেট, মিসাইল মজুত করেছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। তাদের মোটরাইজড ডিভিশন এবং রকেট ডিভিশনের ইউনিটের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। ভারতীয় গুপ্তচরদের কাছে এবং উপগ্রহ মারফত পাওয়া গোপন ছবি সেকথাই বলছে।

ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, সেনা অপসারণ বা ডিসএনগেজমেন্টের কোনও সদিচ্ছাই দেখাচ্ছে না চীন। উল্টো তাদের রাইফেল ডিভিশনের অধীনে সেনা সংখ্যা কয়েক হাজার করে বাড়ানো হচ্ছে। পিএলএ প্রতিটি সংঘর্ষ-বিন্দুতে (ফ্রিকশন পয়েন্টে) তাদের সেনাবিন্যাস ঘন ঘন পালটাচ্ছে। ফরোয়ার্ড পোস্টগুলোতে রোটেশনে ডিউটি বদলানো হচ্ছে সেনা সদস্যদের।

উপগ্রহ চিত্র থেকে এও ধরা পড়েছে, তিব্বতের বিভিন্ন এলাকা ও সীমান্তরেখার সেনা ঘাঁটিগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপুল উন্নতি ঘটেছে। পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জিনজিয়াং প্রদেশের হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটিও। লালফৌজ সেখানেও ব্যাপক সেনা নিয়োগ করেছে। জমায়েত করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে সামরিক সরঞ্জাম।

 

কয়েক দিন আগেই অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে চীনের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে বলে প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সীমান্তে সংঘাত নিয়ে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের মধ্যে এপর্যন্ত নয় দফা আলোচনা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস এই বিষয়ে কিছুটা হলেও অগ্রগতি হয়েছে। তবে বাস্তবে তেমন কিছু নজরে আসছে না। গতবছরের ঘটনার পর চীনা ফৌজের মোকাবিলায় আমরা নিয়ন্ত্রণরেখায় বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছি।”

সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস

বৈশাখী নিউজএপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর