উন্নয়ন প্রকল্প মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষভাবে তুলে আনতে হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, উন্নয়ন প্রকল্প মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি তুলে আনতে হবে। নিষ্ঠুর পর্যালোচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে নো খাতির। ভয় পাওয়ার দিন শেষ। মাথা নুইয়ে চলার দিন শেষ। স্বাধীন দেশে সবাই মাথা উচু করে বাঁচবেন। কাজ করবেন, মাথা উচু করেই চলবেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০২০-২১ অর্থবছরের নির্বাচিত চলমান প্রকল্পের নিবিড় পরিবীক্ষণ ও সমাপ্ত প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন সংক্রান্ত এ ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী।
এতে বক্তব্য দেন- আইএমইডি’র অতিরিক্ত সচিব গাজী সাইফুজ্জামান এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আহসানুল্লাহ। কর্মশালায় জানানো হয়, চলতি অর্থবছরের চলমান এবং সমাপ্ত হওয়া মিলে ৩০টি প্রকল্পের নিবিড় পরীক্ষণ ও প্রভাব মূল্যায়ন করা হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, কাজ দ্রুত করতে হবে। ফাইল ফেলে রাখলে চলবে না। যখাসময়ে শ্রেষ্ঠ মেধা প্রয়োগ করে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষ না খেয়ে বা কম খেয়ে রাজস্ব জোগাচ্ছে। সেই টাকায় আমরা মোটামুটি ভালো আছি। কিন্তু আপনি যদি কাজটাই না করেন তাহলে তো কিছু হলো না। প্রকল্প যখন ভালোভাবে বাস্তবায়ন হয় তখন গর্ববোধ করি। এডিপি ৯৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে পারলে গর্বিত হই। প্রধানমন্ত্রীর সামনে গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতেও ভালো লাগে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে ধুলিঝড় উঠে। এটা ক্ষণস্থায়ী। বাকি সময়টা সব কিছুই পরিষ্কার দেখা যাবে। আমরা কাজ করে যাব। আগের দিনে গ্রামে দেখতাম ঘূর্ণি বাতাসের সঙ্গে ধুলিঝড় আসতো। আবার অল্প সময়েই চলে যেত। তবে এসব ঝড় থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রশংসা করা ভালো। কিন্তু অতি প্রশংসা ভালো নয়। প্রশংসা করেই সময় পার করা যাবে না। যারা এদেশের জন্য, ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাদের স্যালুট দেবেন, সালাম দেবেন। কিন্তু নুইয়ে পড়ে বসে থাকার দরকার নেই। শ্রদ্ধার সঙ্গে কাজটাও করতে হবে। অনুষ্ঠানে অতিথি বলে অতি প্রশংসা করলে লজ্জায় পড়ে যাই। আবার ফুল দেওয়ার যে প্রবণতা সেটি ধীরে ধীরে বাদ দিতে হবে।