আইসিসি কেন ভারতকে যা খুশি তা–ই করতে দিচ্ছে, থামাচ্ছে না : মাইকেল ভন
ঢাকঢোল পিটিয়ে খুব আয়োজন করে শুরু হয়েছিল গোলাপি বলে ভারত-ইংল্যান্ডের দিবারাত্রির টেস্ট। কারণ টেস্টটি দিয়েই অভিষেক ঘটেছে আহমেদাবাদে স্থাপিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামের।
আর সেই টেস্ট মাত্র দেড় দিনে শেষ করে দিল ভারত! ইংল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারাতে পুরো দুদিনও লাগেনি ভারতের।
এমন জয়ে ভূয়সী প্রশংসায় ভাসার কথা ছিল ভারতীয় দলের কিন্তু। কিন্তু বিরাট কোহলির দলের সেই কৃতিত্বকে ছাপিয়ে আলোচনায় এখন মোতেরার বাইশ গজের উইকেট। অনেক সাবেক তারকারা উইকেটের আচরণ নিয়ে টিপ্পটি কাঁটছেন।
সেটা হবারই কথা। কারণ ম্যাচে ৩০ উইকেটের ২৮টিই নিয়েছেন স্পিনাররা।
আহমেদাবাদ টেস্টের উইকেট নিয়ে ভারত দল ও আইসিসির ওপর চড়াও হয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন।
মোতেরা স্টেডিয়ামের উইকেটকে ‘জঘন্য’ আখ্যা দিয়ে এমন উইকেট বানানোতে আইসিসি কেন ভারতকে থামাচ্ছে না সে প্রশ্ন তুলেছেন ভন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফে মাইকেল ভন লিখেছেন, ‘ভারতের মতো শক্তিশালী দেশগুলোকে যত দিন পর্যন্ত যা খুশি তা–ই করতে দেওয়া হবে, তত দিন পর্যন্ত আইসিসিকে নখদন্তহীন মনে হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভারতকে যা খুশি তা–ই করতে দিচ্ছে। এ কারণে টেস্ট ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
পাঁচ দিনের টেস্ট দেড় দিনে শেষ হয়ে যাওয়াতে সম্প্রচারক সংস্থাগুলোর ব্যপক খতি হয়েছে বলে দাবি করেন এ ধারাভাষ্যকার।
এ বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
টেলিগ্রাফে ভন লিখেছেন, ‘তিন দিন আগেই ম্যাচ শেষ হয়েছে, সম্প্রচারক সংস্থাগুলোর টাকাও খসছে। এতে খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই এবং টেস্টের স্বত্ব পেতে ভালো অঙ্কের টাকা খরচের ব্যাপারে তারা দ্বিতীয়বার ভাববে। ঘরোয়া বোর্ডের এমন বাজে পিচ বানানো মেনে নেবে না তারা। তারা তাদের টাকাও ফেরত চাইতে পারে। ’
১০ উইকেটে ভারতের এ জয়ে কোনো কৃতিত্ব দেখছেন না ভন। তার মতে, আহমেদাবাদের এই টেস্টে কোনো দলই জেতেনি। জিতেছে স্পিনবান্ধন উইকেট।
এক টুইটে ভন লেখেন, ‘ভারত তৃতীয় টেস্ট জিতেছে, কিন্তু এই জয়ের কোনো গভীরতা নেই। আসলে এ ম্যাচে কেউ জিততে পারেনি। আইসিসির উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যাতে ভবিষ্যতে ভারত এমন জঘন্য পিচ না বানাতে পারে।’
প্রসঙ্গত ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আহমেদাবাদের মোতেরায় ব্যাটসম্যানরা স্পিনবিষে ধরাশায়ী হয়েছেন বেশি। প্রথম ইনিংসে অক্ষর-অশ্বিনের ঘূর্ণিজাদুতে ইংল্যান্ড মাত্র ১১২ রানেই গুটিয়ে যায়। ভারতও লিচ ও জো রুটের স্পিনে ১৪৫ রানে গুটিয়ে যায়।
জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় স্পিনারদের ঘূর্ণির সামনে মাত্র ৮১ রানেই অলআউট হয় সফরকারীরা। মাত্র ৪৯ রানের টার্গেট কোনো উইকেট না হারিয়ে চা-বিরতির আগেই সেরে ফেলে ভারত। ১০ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয় স্বাগতিকরা।