ব্লিনকেনকে উইঘুদের বন্দি শিবির ও নির্যাতন বন্ধ করতে আহ্বান
সম্প্রতি জিনজিয়াংয়ে উইঘুদের প্রতি চীনের অমানবিক আচরণ ও গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বেশ কয়েকটি দেশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) নির্বাসিত জাতিগত উইঘুদের প্রতিনিধিত্বকারী বৃহত্তম দল এক চিঠিতে মার্কিন পরারষ্ট্র মন্ত্রীর প্রতি এই অমানুষিক নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘প্রত্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের বন্দি শিবিরে ১০ লাখের বেশি মুসলিম উইঘু এবং অন্যান্য তুর্কি মুসলমানকে আটকে রাখা হয়েছে।’
জিনজিয়াংয়ে উইঘু মুসলিমদের ধরে নিয়ে গিয়ে যেসব ক্যাম্পে নির্যাতন চালানো হচ্ছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার কার্যকর উদ্যোগ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে চীন সব অভিযোগ অস্বীকার করে যাচ্ছে। দেশটির কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ইসলামী চরমপন্থা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদকে দূর করতে ওই শিবিরগুলোতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে ব্লিঙ্কেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান চীনের শীর্ষ কূটনীতিবিদ ইয়াং জিয়েচি এবং স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই-এর সাথে সাক্ষাৎ করবেন। ব্লিনকেন ইতোমধ্যে চীনের বিরুদ্ধে জোর জবরদস্তি ও আগ্রাসনের অভিযোগ এনেছেন।
বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেসের সভাপতি ডলকুন ইসা ব্লিঙ্কেনকে বলেন, ‘প্রথম এবং সর্বাগ্রে, চীনের অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে পূর্ব তুর্কিস্তানে মানবতার বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা এবং অপরাধ বন্ধ করা জরুরি।’
এছাড়াও কূটনীতিকদের মতে, ১৭ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনা কর্মকর্তাদের কালো তালিকাভুক্ত করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা