আমরা আশানুরূপ খেলতে পারিনি : মাহমুদউল্লাহ

বছরের পর বছর কেটে যায়, টাইগারদের ‘শিক্ষাসফর’ আর শেষ হয় না। শিক্ষা নিতে নিতেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে জঘন্য পারফর্মেন্স করে ধোলাই হতে হয়েছে। যদিও প্রতি ম্যাচের আগেই ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। এবার রবিবার থেকে শুরু হতে চলা টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগেও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কথায় উঠে এলো একই সুর। সেই ‘শিক্ষা নেওয়া’ আর ‘ঘুরে দাঁড়ানো’।

বিসিবির পাঠানো ভিডিওবার্তায় ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘স্পষ্টত আমরা আশানুরূপ খেলতে পারিনি। এ কারণে আমরা খুবই আশাহত। কারণ, আমরা বুঝতে পারছি আমাদের যে যোগ্যতা, সেভাবে আমরা খেলতে পারিনি। অবশ্যই ভুলগুলো মাথায় রাখতে হবে, যাতে সেগুলো থেকে শিখতে পারি, তবে ফলাফলটা (ওয়ানডে সিরিজের) ভুলে যেতে হবে। এখানে জয়ের বিকল্প কিছু নেই। আপনি যদি নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারাতে চান, আপনার প্রথার বাইরে ভাবতে হবে। অন্য ধরনের ক্রিকেট খেলতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য আমরা সবাই উন্মুখ।’

ফরম্যাটের কারণেই বাংলাদেশের সামনে জয়ের সুযোগ আছে বলে মনে করেন মাহমুদউল্লাহ, ‘টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা, যেখানে বড়-ছোট দল বলে কিছু নেই। র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হোক বা দশ নম্বর, নির্দিষ্ট দিনে যদি কোনো দল ভালো খেলে, এক-দুজন ব্যাটসম্যান দারুণ করে, দল হিসেবে আমরা যদি ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে সেটা কাজে লাগাতে পারি, কাজে লাগানোর দক্ষতাটা যদি ঠিকঠাক থাকে, তাহলে আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারব-এটা আমাদের বিশ্বাস।’

দলের সাফল্যের রেসিপিও বাতলে দিয়েছেন টাইগার ক্যাপ্টেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে কোনো জড়তা না রেখে আমরা যদি ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারি, ম্যাচের ফল পক্ষে নিয়ে আসা সম্ভব। দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের জয়ের ক্ষুধাটা এখনো তীব্রভাবে আছে। ইনশা আল্লাহ, কালকের ম্যাচে আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলব। আমাদের ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আরও ভালো খেলতে হবে। আমাদের যে বোলিং ইউনিট আছে, মেহেদি, নাসুম, ফাস্ট বোলাররা, মিরাজ-  সেটা ওদের আটকে রাখার জন্য যথেষ্ট।’

সেইসঙ্গে উঠে এলো নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার কথা, ‘আমরা জানি যে এখানকার কন্ডিশন বরাবরই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। ওয়ানডে সিরিজে দেখেছি যে ওরা কন্ডিশনটাকে খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে। এই কন্ডিশনে ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু এখানে অনেক বাতাস থাকে। অনেক সময় উঁচু ক্যাচ বা নিচু ক্যাচ আসবে, যেহেতু এখানে বল খুব তাড়াতাড়ি ভেসে আসে। এটার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। এই ছোট ছোট সুযোগ যদি আমরা সবাই ঠিকভাবে নিতে পারে, ইনশাল্লাহ আমরা একটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারব।’

বৈশাখী নিউজজেপা