আন্তরিকতায় মুগ্ধ, ধন্যবাদ বললেন মোদি

আপডেট: March 28, 2021 |

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিতে বাংলাদেশে দু’দিনের সফরে এসে জনগণের যে আন্তরিকতা দেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি; তাতে নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার পর বাংলাদেশ সফর নিয়ে টানা একাধিক টুইট করে এই মুগ্ধতা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলায় লেখা এক টুইটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘আমার সফরকালে বাংলাদেশের জনগণ যে আন্তরিকতা দেখিয়েছে তার জন্য আমি তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’

আমার সফরকালে বাংলাদেশের জনগণ যে আন্তরিকতা দেখিয়েছে তার জন্য আমি তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাঁর উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমার বিশ্বাস, এই সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।

অপর এক টুইটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা এবং সামনে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।

আরেক টুইটে বাংলাদেশের সঙ্গে সাক্ষরিত পাঁচ সমঝোতা স্মারক সই নিয়ে আশাপ্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদি। বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও অন্যান্য বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এগুলো আমাদের উন্নয়ন অংশীদারিত্বে শক্তি জোগাবে এবং দুই দেশের মানুষের বিশেষ করে তরুণদের লাভবান করবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বিমানবন্দরে তাকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। সেখানে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নরেন্দ্র মোদি। ওইদিন বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালীমন্দির পরিদর্শন করেন এবং পূজা দেন। পরে হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়ায় যান। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নরেন্দ্র মোদি। সমাধি কমপ্লেক্স ঘুরে দেখার পর পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর এবং বঙ্গবন্ধু ভবনের পাশে একটি বকুল গাছের চারা রোপণ করেন তিনি। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।

পরে কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাকে উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ডঙ্কা-কাঁসা বাজিয়ে বরণ করে নেন ঠাকুরবাড়ির মতুয়ারা। সেখানে তিনি পূজা-অর্চনা করেন। পরে তিনি ঠাকুরবাড়ির সদস্য ও মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

বিকেল ৫টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন নরেন্দ্র মোদি। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক করেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। দুই শীর্ষ নেতা দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আধাঘণ্টার বেশি সময় আলাপ-আলোচনা করেন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে পৌঁছেন নরেন্দ্র মোদি।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর