পুঁজিবাজারে বেড়েছে সূচক ও লেনদেন

ঈদের আগের শেষ কার্যদিবস বুধবার (১২ মে) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া তিন কার্যদিবসেই সূচকের উত্থান হল। সেইসঙ্গে টানা ছয় কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকল শেয়ারবাজার। ঈদের আগে এমন টানা উত্থানে বেশ খুশি বিনিয়োগকারীরা।

মূল্যসূচক টানা বাড়ার পাশাপাশি ঈদের আগে লেনদেনের গতিও বেশ বেড়েছে। বুধবার ডিএসইতে লেনদেন ১৪’শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে টানা নয় কার্যদিবস ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হল।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় প্রথম মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

তবে প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। এতে একপর্যায়ে সূচক ঋণাত্মকও হয়ে পড়ে। অবশ্য লেনদেনের শেষদিকে আবার বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী রেখেই ঈদ উদযাপনের সুযোগ পেলেন বিনিয়োগকারীরা।

দিনের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭৫০ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

তবে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক পতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। সূচকটি আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ডিএসইতে দিনভর লেনদেনে অংশ নেয়া ২০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০১টির এবং ৬৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৫৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৪০৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনেদেন বেড়েছে ৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১০৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল ফিডের ৪৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- রবি, সাইফ পাওয়ার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, জিবিবি পাওয়ার, সামিট পাওয়ার, ফরচুন সুজ এবং ম্যাকসন স্পিনিং।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৯১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১০৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৩টির এবং ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা