ইয়াসের পর যে ঝড় আসবে তার নাম ‘গুলাব’

আপডেট: May 26, 2021 |

ভারতের উড়িষ্যার বালেশ্বরের দক্ষিণে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এই নামটি দিয়েছে ওমান। ইয়াস ফার্সি শব্দের অর্থ সুগন্ধি ফুলের গাছ। যেটি জুঁইয়ের কাছাকাছি। ইয়াস শব্দের অন্য একটি অর্থের কথাও বলা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এর মানে দুঃখ বা হতাশা।

এদিকে ইয়াসের পরে যে ঝড়টি আসবে তার নাম দেয়া হবে ‘গুলাব’। এই নামটি ঠিক করে রেখেছে পাকিস্তান।

উর্দু, ফার্সি, হিন্দিতে গুলাব অর্থাৎ গোলাপ। সেই গোলাপ ঝড় ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড ও সংলগ্ন কিছু উপকূলীয় দেশের কোন দিকটি বেছে নেবে তা নির্ভর করছে প্রকৃতির ওপর।

এর আগের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ছিল ‘আম্ফান’র নামকরণ করেছিল থাইল্যান্ড। ‘ফণী’ ঝড়ের নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। ‘বুলবুল’ নাম ছিল পাকিস্তানের দেওয়া।

একটা সময়ে বিভিন্ন সংখ্যা দিয়ে ঝড়কে চিহ্নিত করা হতো। কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে অসুবিধা হতো। মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হয়ে থাকত সেই সব সংখ্যা। নামকরণের মাধ্যমে প্রতিটি ঝড়কে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি তার সবিস্তার তথ্য নথিভুক্ত করাও সহজ হয়। ঝড়ের নামকরণ চালু খুব বেশি দিনেরও নয়। ২০০৪ সালে শুরু হয়। সেই বছর তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম নামকরণও করেছিল বাংলাদেশ। নাম ছিল ‘অনিল’।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত আটটি দেশ। দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ওমান। এই প্যানেলকে বলা হয় ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (এএসসিএপি)। ভারতের পক্ষ থেকেও অনেক ঘূর্ণিঝড়ের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে- অগ্নি, আকাশ, বিজলি, জল, লহর, মেঘ, সাগর নামে।

নামকরণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মও মানা হয়। যেমন- এমন নামই দেওয়া হয় যা ছোট হবে এবং সাধারণ মানুষ সহজে উচ্চারণ করতে পারে। যে দেশ নাম রাখবে তার সঙ্গে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হয় ওই শব্দ যেন কাউকে আঘাত না করে। কোনো রকম ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ বা আতঙ্ক ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে এমন নামও রাখা যায় না। কোনো ধর্মীয় সম্পর্ক বা ব্যক্তি নামও ব্যবহার করা হয় না।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর