ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করল হোয়াটসঅ্যাপ

আপডেট: May 26, 2021 |

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে ভারত সরকারের নতুন নিয়ন্ত্রণমূলক নীতির কার্যকারিতা আটকাতে দিল্লির হাইকোর্টে মামলা করল ফেসবুকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ।

রয়টার্স জানিয়েছে, ওই নীতির একটি বিধান সংবিধানের গোপনীয়তার অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে সেটি বাতিলের আবেদন করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের মামলায়।

তিন মাস আগে জারি করা ওই নতুন নীতির একটি শর্তে বলা হয়েছে, কোনো তথ্য প্রথম কার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়াল, কর্তৃপক্ষ চাইলে সোশাল মিডিয়া কোম্পানিকে তাকে চিহ্নিত করে দিতে হবে।

অবশ্য আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধের বস্তুনিষ্ঠ অভিযোগ পেলে তখনই তথ্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেখানে।

হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, তাদের ব্যবহারীদের বার্তার গোপনীয়তা এনক্রিপশনের মাধ্যমে আদান-প্রদানকারীর মধ্যেই সুরক্ষিত থঅকে। এখন ভারত সরকারের নতুন নিয়ম মানতে হলে হোয়াটসঅ্যাপকে তথ্য গ্রহিতা এবং তথ্য দাতা- দুপক্ষের গোপনীয়তাই ভাঙতে হবে।

এ মামলার ওপর আদালতে কখন শুনানি হতে পারে- সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেনি রয়টার্স। বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় এ বিষয়ে জড়িত ব্যক্তিরা নিজেদের পরিচয়ও প্রকাশ করতে চাননি।

এ বিষয়ে রয়টার্সের প্রশ্নের উত্তরে হোয়াটসঅ্যাপের মুখপাত্রও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ সপ্তাহের শুরুতে টুইটার কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের পর থেকে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর আগে ক্ষমতাসীন দলের একজন মুখপাত্রসহ বেশ কয়েকজনের পোস্টকে ‘ম্যানিপুলেটেড’ হিসেবে চিহ্নিত করে টুইটার বলেছিল, সেসব টুইটের কনটেন্ট ছিল ভুয়া।

কোভিড-১৯ নিয়ে ‘ভুল তথ্য’ সরিয়ে ফেলার পাশাপাশি মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে সরকারের কার্যকমের সমালোচনাগুলোও সরিয়ে ফেলতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে চাপ দিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ‘অপপ্রয়োগ’ ঠেকাতে বেশ কিছু শর্ত পূরণের নির্দেশনা দিয়ে ২৫ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ফেইসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামসহ অন্য কোম্পানিগুলো তা পূরণ করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক কোম্পানি ফেসবুকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ভারতে বড় ধরনের বিনিয়োগ আছে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর