জুনে প্রায় ১০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করবে সেরাম

আপডেট: May 31, 2021 |

অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকার উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)। এখনকার মাসে সাড়ে ৬ কোটি ডোজের জায়গায় জুনে প্রায় ৯ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করা হবে।

সেরাম ইনস্টিটিউটের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে এ কথা বলেছেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে বাড়তি চাহিদার কারণে সেরাম তাদের মাসিক উৎপাদন ক্ষমতা এর মধ্যে একদফায় দেড় কোটি ডোজ বাড়িয়ে সাড়ে ৬ কোটি করেছে। তবুও ১৩০ কোটি মানুষের দেশটি সবার টিকার জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে টিকা রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকা উৎপাদনকারী দেশটি। এতে বাংলাদেশসহ অনেক দেশ বিপাকে পড়েছে।

কোভিড-১৯ টিকার কয়েকটি এখন উৎপাদন হচ্ছে ভারতে। এর একটি একটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড, যা বানিয়ে দিচ্ছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।

প্রধান দুটির আরেকটি টিকা ভারতেই উদ্ভাবন হয়েছে। কোভ্যাক্সিন নামে এই টিকা উদ্ভাবন করেছে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক।

বিভিন্ন রোগ সারাতে বিশ্বে উৎপাদিত টিকার ৬০ শতাংশই তৈরি হয় ভারতে। এর এ ক্ষেত্রে বড় অবদান বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের।

বেসরকারি আরেক প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক প্রতি মাসে দুই কোটি ডোজ কোভ্যাক্সিন টিকা তৈরি করছে বলে নয়া দিল্লি সরকার জানিয়েছে। ভারত বায়োটেকের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৯০ লাখ। চাহিদার কারণে তাদেরও উৎপাদন বাড়াতে হয়েছে।

জুলাই মাসে তারা উৎপাদন এখনকার দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি সরকারকে দিয়েছে। তখন তাদের উৎপাদন দাঁড়াবে মাসে সাড়ে ৫ কোটি ডোজ।

কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের বাইরে রুশ টিকা স্পুৎনিকও ভারতে তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। জুলাই নাগাদ রুশ টিকাও মাসে ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ তৈরির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

দেশটির সরকারি সূত্রে জানা গেছে, টিকাদান কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত মোট ২১ কোটি ২০ লাখ ডোজ করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে জনগণকে। টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহার করা ডোজের হিসেবে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরই আছে ভারত।

মার্চে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেওয়ায় অনেকটা আকস্মিকভাবেই করোনা টিকার চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ; কিন্তু কোম্পানিগুলোর পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে টিকার উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব না হওয়ায় দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে দেখা দেয় টিকার ডোজের ঘাটতি।

এপ্রিলের মাঝামাঝি নাগাদ সেই সংকট এতটাই প্রকট রূপ নেয় যে- মাহরাষ্ট্র, কর্নাটক, তামিলনাড়ুসহ বিভিন্ন রাজ্য ডোজের ঘাটতির কারণে স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় গণটিকাদান কর্মসূচি।

গত এক সপ্তাহ ধরে অবশ্য দৈনিক সংক্রমণ কমছে ভারতে। রোববার দেশটিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫৩ জন, যা গত ৪৬ দিনে সর্বনিম্ন।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর