দেশের গ্রামগুলোকে উন্নত সেবার আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছি

আপডেট: June 6, 2021 |

 গ্রামগুলোকে উন্নত সেবার আওতায় আনতে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৫টি গ্রামকে নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আজ রবিবার (৬ জুন) সকালে অনলাইনে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা এখন দেশের গ্রামগুলোকে উন্নত সেবার আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছি। ১৫টি গ্রামকে নির্ধারণ করা হবে। একটি ক্রাইটেরিয়া ঠিক করে দেওয়া হয়েছে কি ধরনের গ্রাম আওতাভুক্ত হবে। যেসব গ্রামগুলোতে এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে, সেগুলোর আলোকে আমরা সারা বাংলাদেশে সেটির ধারবাহিকতা অব্যাহত রাখব। করোনার কারণে আমাদের কাজ কিছুটা স্লো হয়ে গেছে। আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আগাচ্ছিলাম সেটি সম্পূর্ণভাবে করতে পারিনি।

তিনি বলেন, আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। গ্রামকে শহর করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সব কাজ করবে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি নেতৃত্ব দেবো। এখানে প্রত্যেকেই প্রকল্প নেবেন যার যার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। প্রকল্প এগুলো অ্যালায়েন্স করে আমরা কাজ করব।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে অনেক অপরিকল্পিত এবং আইন বহির্ভূতভাবে অবকাঠামো গড়ে উঠেছে, এগুলোকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের মাথাপিছু আয় হয়েছে ২২২৭ ডলার, যখন সাড়ে চার হাজার বা ছয় হাজার ডলারে এটি যাবে তখন সবাই গাড়ি কিনে ফেলবে, তখন তাদের গাড়ি কেনার সক্ষমতা তৈরি হবে। এসব গাড়ি যদি চলাচল করে, আর অপরিকল্পিতভাবে যদি সব কিছু হয় তাহরে রাস্তায় জ্যাম হবে। সেক্ষেত্রে সব গাড়ি চলাচলে অনেক বেশি রাস্তা লাগবে। কিন্তু যদি পরিকল্পিতভাবে করলে জায়গা কম লাগবে।

তিনি বলেন, আমরা যদি একটা ক্লাস্টারের মধ্যে স্কুল, হাসপাতাল, খেলার মাঠ, শপিংমল এবং বসবাসের জন্য অন্য সবকিছু একটি ক্লাস্টারের মধ্যে করতে পারি তাহলে অনেক ভালো কিছু হবে। কাজটি করা কঠিন হবে তবে কাজটি পার্মানেন্ট হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষ কিন্তু আর হ্যাসেলফুল লাইফলিড করবে না। ঢাকা শহর যেভাবে গড়ে উঠেছে, এখানে হয়তো অনেক অপরিকল্পিত এবং আইন বহির্ভূতভাবে করা হয়েছে, অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। খাল, লেক দখল হয়েছে। ঢাকা শহরে বাড়িঘর করা হয়েছে, কিন্তু সেপটিক ট্যাঙ্ক নিচে রাখা হয়নি। এখন সরাসরি লেক-খালের মধ্যে বর্জ্য দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে থাকলে লেক-খালগুলো কি কখনো পুনঃরুদ্ধার করা যাবে?

বৈশাখীনিউজ/ বিসি

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর