ভারী বর্ষণে সাতক্ষীরায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেট: July 31, 2021 |

সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা তিনদিনের ভারী বর্ষণে সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে ১৯ হাজার ৫৪৯টি মৎস্য ঘের। অতিবৃষ্টিতে শুধুমাত্র মাছের ক্ষতি হয়েছে ৫৩ কোটি টাকার মতো। তলিয়ে গেছে ১৭০০ হেক্টর আমন বীজতলা।

পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার হাজারো পরিবার। রাস্তা-ঘাট পানিতে ডুবে চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মানুষজন। তলিয়ে গেছে ৭৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার নিম্নাঞ্চল।

সাতক্ষীরা পৌরসভার ইটাগাছা এলাকার বাসিন্দা আলীনুর খান বাবুল বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে আমাদের এলাকা তলিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার যে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে তাদের চারিদিকে পানি থৈ থৈ করছে। পানি বের হওয়ার সুযোগ নেই।

সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির নেতা আনিসুর রহিম বলেন, পৌরসভায় পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে মানুষ বছরের পর বছর ধরে জলাবদ্ধতায় ভুগছে।

টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে পৌরসভার ইটাগাছা, কামাননগর, রসুলপুর, মেহেদিবাগ, মধুমোল্লারডাঙ্গী, বকচরা, সরদারপাড়া, পলাশপোল, পুরাতন সাতক্ষীরা, রাজারবাগান, বদ্দিপুর কলোনি, ঘুড্ডিরডাঙি ও কাটিয়া মাঠপাড়াসহ বিস্তৃীর্ণ এলাকা।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১৪৩ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত ৫ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে এটাই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নূরুল ইসলাম বলেন, ভারীবর্ষণে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির রোপা আমন বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। ৮৬০ হেক্টর রোপা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ৫০০ হেক্টর জমির সবজির ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি আর না হলে ক্ষতির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমবে বলে জানান কৃষিবিদ নূরুল ইসলাম।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আমপানে সাতক্ষীরায় মাছের ক্ষতি হয় ১৭৬ কোটি টাকা। ইয়াসের ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে মাছের ক্ষতি হয় ১৬ কোটি টাকা। সবশেষ বৃহস্পতিবার ব্যাপক বর্ষণে ৫৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর