এলিট ক্লাবে মিরপুর এক্সপ্রেস তাসকিন আহমেদ

কাগিসো রাবাদার ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ধরা পরপরই দিগ্বিদিক ছুটছেন তাসকিন আহমেদ। কেনই বা ছুটবেন না! এমন দিনটি দেখার জন্য পাক্কা আট বছর অপেক্ষা করলেন ‘মিরপুর এক্সপ্রেস’!
প্রথম দুই স্পেলে ২ উইকেট পাওয়ার পর বোলিংয়ে ফিরে সেঞ্চুরিয়নে আরো ৩ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। তার এই ৫ উইকেট প্রাপ্য ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যেভাবে বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন তাসকিন, তাতে বড় কিছুর আশা করা বাড়াবাড়ি নয়। সেঞ্চুরিয়নে সিরিজ জয়ের পরীক্ষায় তাসকিন এমন দিনটি দেখেই ফেললেন।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় ২০১৪ সালে অভিষেকে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন তাসকিন। দ্বিতীয় ৫ উইকেটের জন্য ডানহাতি পেসারের অপেক্ষা করতে হলো ৮ বছর। অবশ্য এই কয়েক বছরে কত ঝড়-ঝাপ্টা গেছে তার ওপর দিয়ে। ইনজুরি, ফর্মহীনতা, দল থেকে বাদ পড়া, খেলায় অমনযোগী… কত কিছু হয়ে গেল তার জীবনে! সেই সমস্ত কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরিয়ে তাসকিন এখন বিশ্বমানের পেসার।
ফরফুরে, ঝরঝরে তাসকিন আজ সেঞ্চুরিয়নে দেখালেন নিজের কারিশমা। প্রথম দুই স্পেলে ৫ ওভারে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। পেয়েছিলেন কাইল ভেরিয়েন্ন ও জান্নেমান মালানের উইকেট। পরবর্তীতে ফিরেই তার শিকার আরো ৩ ব্যাটসম্যান। হয়ে গেল দ্বিতীয় ৫। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে আউট করার পর একই ওভারে তার শিকার ডেভিড মিলার ও রাবাদা।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২০১২ সালের পর সফরকারী দলের পেসার পেলেন ৫ উইকেট। সবশেষ এমন কীর্তি গড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার হয়ে লাসিথ মালিঙ্গা।
বাংলাদেশের পেসারদের দেশের বাইরে ফাইফারের সংখ্যা খুবই কম। মাশরাফি ২০০৬ সালে নাইরোবিতে ২৬ রানে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন। যা এখনো দেশের যে কোনো বোলারদের মধ্যে সেরা। মাশরাফি বাদে বিদেশে ৫ উইকেট পাওয়া পেসাররা হলেন জিয়াউর রহমান, আবু জায়েদ রাহী ও মোস্তাফিজুর রহমান। তাদের মধ্যে মোস্তাফিজই কেবল দুইবার এই সাফল্য পান। সেটাও ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। তাসকিন সেই এলিট ক্লাবে আজ যোগ দিলেন। এর আগে সাকিব আল হাসান সবশেষ ৫ উইকেট পেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের মাটিতে ২০২১ সালে।