ভারতে খাবারে লবণ বেশি দেয়ায় স্ত্রীকে হত্যা

আপডেট: May 6, 2022 |

ভারতের মহারাষ্ট্রের রাজ্যে গত মাসে সকালের নাস্তার খাবারে লবণ বেশি হওয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে পুলিশ ৪৬ বছরের এক পুরুষকে আটক করে।

সম্প্রতি পুলিশ কর্মকর্তা মিলিন্দ দেশাই এ খবর নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, মুম্বাইয়ের কাছে থানে শহরের ব্যাংক কর্মচারী নিকেশ ঘাগ তার ৪০ বছর বয়সী স্ত্রীকে পিটিয়ে এবং পরে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। কারণ সাবুদানা দিয়ে রান্না করা খিচুড়িতে লবণ বেশি হওয়ায় সে প্রচণ্ড চটে গিয়েছিলো। খবর বিবিসি বাংলার।

ওই দম্পতির ১২ বছরের যে ছেলে নিজের চোখে এই হত্যাকাণ্ড দেখেছে -সে পুলিশকে জানায়, তার বাবা বেডরুমে ঢুকে লবণ বেশি হওয়া নিয়ে তার মা নির্মলাকে পেটাতে শুরু করে।

মিলিন্দ দেশাই বলেন, বাচ্চাটি কাঁদতে কাঁদতে তার বাবাকে থামার জন্য বারবার অনুরোধ করেছে। কিন্তু অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তি বউকে পেটাতেই থাকে এবং এক পর্যায়ে গলায় একটি দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে।

হত্যাকাণ্ডের পর নিকেশ ঘাগ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে ছেলে তার নানি এবং মামাকে ফোন করে, যোগ করেন মিলিন্দ।

তিনি বলেন, আমরা যখন ঐ বাড়িতে যাই, তার আগেই পরিবার অচেতন ঐ নারীকে হাসপাতালে নেয়, কিন্তু তার মধ্যেই সে মারা যায়।

অভিযুক্ত স্বামী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে বলে সে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলো। তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়।

খাবার নিয়ে বচসার জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হওয়ার খবর মাঝে মধ্যেই ভারতের মিডিয়াতে শিরোনাম হয়।

নারী অধিকার কর্মী মাধবি কুকরেজা বলেন, ‘হত্যার ঘটনা মানুষের নজর কাড়ে’ -কিন্তু নারীর প্রতি এমন সহিংসতার ঘটনা সমাজে নিয়মিত ঘটছে এবং তা ‘গোপন’ করে রাখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে ভারতের বছরের পর বছর যেসব খবর হয় তার অধিকাংশই ঘটে পরিবারের ভেতর। স্বামী বা স্বজনরাই এসব সহিংসতার হোতা। ২০২০ সালে পুলিশের কাছে ১ লাখ ১২ হাজার ২৯২ নারী ঘরের ভেতর সহিংসতার অভিযোগ করেছিলেন। তার অর্থ, সে বছর প্রতি পাঁচ মিনিটে পুলিশ এ ধরণের একটি অভিযোগ পেয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর