ইমান-আমলের বয়ানে দ্বিতীয় দিনে মশগুল ইজতেমা ময়দান

আপডেট: January 14, 2023 |
print news

চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয়। সকাল থেকেই শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।

ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর থেকে ইবাদত, বন্দেগি, জিকির-আসকার চলে। এরপর ইমান ও আমল নিয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে বয়ান শুরু হয়। বয়ান করেন মাওলানা খুরশিদ। এরপর সকাল ১০টা থেকে উলামা একরামদের জন্য বয়ান চলবে।

এর আগে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার প্রথমদিনে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জুমার নামাজের জামাত হয়। জুমার নামাজে ইমামতি করেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের। নামাজে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণ ছিলো। আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে তুরাগ নদীর তীর। শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করেন সবাই। মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কাল পেরিয়ে আবারো সমবেত হতে পারায় শুকরিয়া আদায় করেন তারা।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার এ পর্ব। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি)। আগামী ২২ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি হবে।

ইজতেমা মাঠের মুরুব্বিরা জানান, তাবলীগ জামাতের উদ্যোগে প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। মাঠের সব কাজ করা হয় পরামর্শের মাধ্যমে। এখানে বিদ্যুৎ, পানি, প্যান্ডেল তৈরি, গ্যাস সরবরাহ প্রতিটি কাজই আলাদা আলাদা গ্রুপের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলীগ জামাতের অনুসারীরা এতে অংশ নেন। তারা এখানে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যান।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, ইজতেমার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। কয়েকটি স্তরের নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে রাখা হবে ইজতেমা ময়দান। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে ঘটতে না পারে, সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।

পুলিশ ও র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও ব্যবহার করা হচ্ছে। নিরাপদ যাতায়াত ও সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে প্রতিদিন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে আগামীকাল রোববার (১৫ জানুয়ারি) শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর