তানোরে কীটনাশকের আড়ালে অবৈধ  সার বাণিজ্য

আপডেট: February 24, 2023 |
inbound6843761436891339211
print news

আলিফ হোসেন,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের  নাচোল সীমান্ত সংলগ্ন  বিল্লী বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী মেসার্স আসমা টেড্রার্সের বিরুদ্ধে কালোবাজারে বেশী দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও অতিরিক্ত দামে সার কিনলেও সারের সঙ্গে কীটনাশক কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে, কীটনাশক না নিলে সার দেয়া হচ্ছে না।

এসব ঘটনায় কৃষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, কৃষি বিভাগের একশ্রেণীর কৃষি  কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই অপকর্ম করে আসছেন।

বিসিআইসি ডিলার ব্যতিত ট্রাকে করে ইউরিয়া সার নিয়ে আনার কোনো সুযোগ নাই।কিন্ত্ত তিনি প্রতিনিয়ত ট্রাকে করে ইউরিয়াসহ নন ইউরিয়া সার নিয়ে এনে খোলাবাজারে বেশী দামে বিক্রি করছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদিত সার ব্যবসায়ী ব্যতিত খোলাবাজারে সার বিক্রির কোনো সুযোগ নাই।

কিন্তু এই কীটনাশক ব্যবসায়ী ক্রয় রশিদ ব্যতিত চোরাপথে নাচোল-আমনুরা ও দেলুয়াবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকের ট্রাক সার এনে মজুদ ও অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে।

এতে বিপাকে পড়েছে অনুমোদিত বৈধ সার ব্যবসায়ীরা। তারা বলছে, অনুমোদন ব্যতিত যদি সার বিক্রি করা যায়, তাহলে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে তাদের অনুমোদন নেয়ার কি প্রয়োজন ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারী বুধবার এক ট্রাক ইউরিয়া ও পটাশ সার দোকানে নামানো হয়েছে।। কিন্ত্ত এসব সারের কোনো ক্রয় রশিদ ছিল না।

ফলে এসব সার আসল-নকল,চোরাই না নিম্নমাণের তা নিশ্চিত হতে পারছে না সাধারণ কৃষক সমাজ। প্রতিবস্তা পটাশের দাম ১১শ’ টাকা নিলেও তার সঙ্গে কীটনাশক কিনতে বাধ্য করা হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স আসমা টেড্রার্সের স্বত্ত্বাধিকারী তায়জুদ্দিন বলেন, সার ছাড়া কীটনাশক ব্যবসা করা যায় না।

এজন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে সার কিনে আনা হয়। তবে বেশী দামে সার বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ব্যবসা করছেন চুরি তো করছেন না।

এবিষয়ে  জানতে চাইলে উপজেলা  কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, অনুমোদিত ডিলার ব্যতিত সার বিক্রির সুযোগ নাই।তিনি বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা
হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর