সিংগাইরে নবজাতকের পা পোড়ানোর ঘটনা অস্বীকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের


সোহরাব হোসেন,সিংগাইর(মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌর সদরের গার্লস স্কুল রোডে ডা.কেরামত আলী মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে নবজাতকের পা পোড়ানোর ঘটনা অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে হাসপাতালের হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্যে হাসপাতাল মালিক মো.আশরাফুল আলম খান শ্যামল বলেন,গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে নবজাতকের পা পোড়ানোর ঘটনা নিয়ে আমাদের হাসপাতালকে জড়িয়ে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের সুনাম ও ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন,গত ১৮ মার্চ জনৈক শুকুর আলী তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী তাজনাহারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক ডেলেভারির জন্য চেষ্টা করেন।
এক পর্যায়ে প্রসূতি ও গর্ভের সন্তানের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তারা অন্যত্র রেফার করেন। রাত সোয়া ১২ টার দিকে স্ত্রীর প্রচন্ড প্রসব বেদনা নিয়ে শুকুর আলী আমাদের হাসপাতাল আসেন। জরুরি ভিত্তিতে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করানো হয়।
বাচ্চার স্বাভাবিক শ্বাস- প্রশ্বাসের সমস্যার কারণে ঢাকাস্থ সিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। এ সময় তারা আমাদের হাসপাতালের বিল পরিশোধ না করে অন্যের প্ররোচনায় সিটি হাসপাতালে না নিয়ে রেনেসা নামের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
৩ দিন পর পায়ের আংগুল পোড়ানোর ভিডিও চিত্র ধারণ করে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
আমাদের হাসপাতালের সুনাম ও ভাবমূর্তি নষ্ট করতে গনমাধ্যমকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে একপেশে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। প্রকাশিত সংবাদে আমাদের কোনো বক্তব্য নেয়া হয়নি।
এছাড়া প্রকাশিত ওই সংবাদে ডা.মাহমুদা সুলতানাকে(সাকী) হাসপাতালের মালিক বানিয়ে বিভ্রান্তিমূলকও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে । প্রকৃতপক্ষে তিনি সরকারি হাসপাতালের একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। এ হাসপাতালের কোনো দায়িত্বশীল পদেও তিনি নেই।
মামলা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে হাসপাতাল মালিক আশরাফুল আলম শ্যামল বলেন,আমরা সঠিক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে মিথ্যা মামলাটি আইনগতভাবে মোকাবেলা করব।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. কেরামত আলী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার(প্রশাসন)আবু সাঈদ, হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা জাহিদ খান জাহানুর প্রমুখ।