মহাসাগরে ভাসমান মসজিদ, প্রতি ৩ মিনিট পরপর খুলে যায় ছাদ

আপডেট: December 22, 2018 |
print news

অদ্ভুত সুন্দর একটি মসজিদ। এর অবস্থান মরক্কোয়। দূরের কোনো জাহাজ থেকে দেখলে মনে হয়, ঢেউয়ের বুকে যেন মসজিদটি দুলছে আর মুসল্লিরা যেন নামাজ পড়ছেন পানির ওপর। দৃষ্টিনন্দন পানিতে ভাসমান এ মসজিদটির নাম গ্র্যান্ড মস্ক হাসান–২ বা দ্বিতীয় হাসান মসজিদ।

বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান কাসাব্লাঙ্কা শহরে এ মসজিদটি তৈরি করেছেন। মসজিদটির নির্মাণ কাজ করেছেন ফরাসি কোম্পানি বয়গিসের প্রকৌশলীরা। আর এর নকশা তৈরি করেছিলেন ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউ। একে ভাসমান মসজিদ বলার কারণ মসজিদটির তিনভাগের একভাগ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর অবস্থিত।

মসজিদটিতে প্রায় ১ লাখ মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। এর মিনারের উচ্চতা ২০০ মিটার। আর মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার। মসজিদের ছাদটি প্রতি ৩ মিনিট পরপর যান্ত্রিকভাবে খুলে যায় বলে এর ভেতরে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে। তবে বৃষ্টির সময় ছাদটি খোলা হয় না।

২২.২৪ একর জায়গার ওপর অবস্থিত এ মসজিদের মূল ভবনের সঙ্গেই আছে লাইব্রেরি, কোরআন শিক্ষালয়, ওজুখানা এবং কনফারেন্স রুম। ২৫০০ পিলারের ওপর স্থাপিত এ মসজিদের ভেতরের পুরোটাই টাইলস বসানো। মসজিদ এলাকার আশপাশে সাজানো আছে ১২৪টি ঝরণা এবং ৫০টি ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি।

মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালের আগস্ট মাসে। প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক ও কারুশিল্পীর পরিশ্রমে এটি প্রায় সাত বছরে নির্মিত হয়। ১৯৯৩ সালের ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে মসজিদটির উদ্বোধন করা হয়। সেসময় এটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৮০ কোটি ডলার।

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর