বাগেরহাটে যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন
গতকাল বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বাগেরহাট-৩ সংসদীয় আসনের রামপালে যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আগুনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন রামপাল উপজেলার কদমী গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে রেজাউল হাওলাদার (৪৫),সোলাকুড়া গ্রামের মাওলানা আমির আলী ছেলে আব্দুল কাদের (৬১), গিলাতলা গ্রামের সুলতান আহম্মেদের ছেলে মাসুদ পারভেজ (৪২) ও বর্নি গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে খবির উদ্দিন (৪৫)। এরা সবাই জামায়াতের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
উজলকুড় ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আহাদ শেখ সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের সোনাতুনিয়া গ্রামে ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয় থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুন নাহারের নির্বাচন পরিচালিত হচ্ছিল। বৃহষ্পতিবার রাত এগারোটার দিকে আমরা নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শেষ করে যুবলীগ কার্যালয়টি তালা বন্ধ করে সবাই বাড়িতে চলে যাই। আমরা যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে আমাদের প্রতিপক্ষ জামায়াত ইসলামীর প্রার্থীর সমর্থকরা আমাদের অফিসে আগুন দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে ধারনা করছি। আগুনে আমাদের কার্যালয়ের বাঁশ কাঠ ও টিনের বেড়া, টেবিলসহ পোষ্টার, ব্যানার ও প্লাস্টিকের চেয়ার পুড়ে ভষ্মিভূত হয়ে গেছে।
বাগেরহাটের-৩ (রামপাল ও মংলা) আসনে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ হাবিবুন নাহারের সঙ্গে জামায়াত ইসলামী প্রার্থী জামায়াত নেতা মোহম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ শেখ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে গত বুধবার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের নির্বাচনী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত স্থানীয় যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন দেয়। আগুনে যুবলীগ কার্যালয়ের বাঁশ কাঠ ও টিনের বেড়া, টেবিলসহ পোষ্টার, ব্যানার ও বেশকিছু প্লাস্টিকের চেয়ার পুড়ে ভষ্মিভূত হয়ে গেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে। তাদের থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।
আগুনের অভিযোগ অস্বীকার করে জামায়াত ইসলামী প্রার্থী মোহম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ শেখ বলেন, আওয়ামী দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা জামায়াতের নেতাকর্মীদের এলাকাছাড়া করতে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। ইতিমধ্যে আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করেছে। আগুনের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার দাবি জানান ওই প্রার্থী।