হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়ার ৭২ ঘণ্টা পর, জেগে উঠলেন তরুণী!

আপডেট: January 14, 2019 |
print news

প্রায় তিনদিন নিথর দেহ পড়েছিল হাসপাতালে। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হৃদস্পন্দন। তারপর হঠাৎ জেগে উঠলেন তরুণী। চীনের পূর্ব ফুজিয়ান প্রদেশে সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে।

২৬ বছরের ওই তরুণী এক সন্তানের মা। তবে তার নাম-পরিচয় সামনে আনা হয়নি। জানা গেছে, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রাত ৮টা নাগাদ স্ত্রীকে পিঠে বয়ে জিয়ামেন ইউনিভার্সিটি অনুমোদিত একটি হাসপাতালে হাসপাতালে হাজির হন তার স্বামী।

দ্রুত শুরু হয় চিকিৎসা। কিন্তু শত চেষ্টার পরও ওই নারীর হৃদস্পন্দন খুঁজে পাননি তারা। আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে ২০ মিনিট ধরে সিপিআর দেওয়া হয়। তাতেও লাভ হয়নি। এরপর এক্সট্রা কর্পোরিয়েল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন (ইসিএমও) প্রযুক্তিতের সাপোর্ট দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে হৃদযন্ত্র কাজ না করলেও যন্ত্রের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখা যায়।

সেই অবস্থায় তিনদিন থাকলেও, পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। কোনো ভাবেই সাড়া দেননি ওই তরুণী। চিকিৎসকরা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, মারা গেছেন ওই তরুণী। হাসপাতালে পড়ে ছিল তার নিথর দেহ। কিন্তু অল্পবয়সে একজন এভাবে চলে যাবে, তা মেনে নিতে পারেননি হাসপাতালেরই কয়েক জন চিকিৎসক। তাই চেষ্টা ছাড়েননি তারা। অবশেষে কাজ দেয় তাদের সেই চেষ্টা।

৭২ ঘণ্টা পর ওই তরুণীর হৃদযন্ত্র আংশিকভাবে কাজ করতে শুরু করে। তারপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। কথা বলতে না পারলেও, চোখ খোলেন তিনি। চিকিৎসায় সাড়া দেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখন আর লাইফ সাপোর্ট দিতে হচ্ছে না তাকে। তবে শারীরিকভাবে এখনও দুর্বল ওই তরুণী। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না। হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।

কিন্তু হঠাৎ কী এমন হয়েছিল, যে মাত্র ২৬ বছর বয়সে এমন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী? হাসপাতালের চিকিৎসক জ্যাং মিনউই জানিয়েছেন, ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলিয়েশনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই তরুণী। এই রোগে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়ে কাঁপতে শুরু করেছিল হৃদপিণ্ড। ডাক্তারি পরীক্ষায় মাইয়োকারডিটিসও ধরা পড়েছে ওই তরুণীর। এর ফলে সংক্রমণের জেরে হৃদপিণ্ডের পেশিতে জ্বালা ধরে। তা থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর