কানাডায় পোশাক রপ্তানিতে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

আপডেট: August 28, 2023 |
inbound4493954898799038753
print news

কানাডা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকেরও অন্যতম বড় বাজার। বাংলাদেশ থেকে কানাডা মাত্র মোট তৈরি পোশাকের ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ আমদানি করে।

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।

তবে এলডিসি তালিকা থেকে বেরিয়ে গেলেও ২০৩৪ সাল কানাডায় শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান গণমাধ্যমকে জানান, কানাডার পার্লামেন্ট গত ৮ জুন একটি ফাইন্যান্স বিল পাস করেছে; সেখানে জিপিটি স্কিমের মেয়াদ ২০৩৪ সালের শেষ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

জানা গেছে, কানাডা সরকার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফ (জিপিটি) স্কিমের আওতায় শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই স্কিমের আওতায় তৈরি পোশাক উৎপাদনের নিয়ম শিথিল করাসহ অন্যান্য পণ্যও দেশটিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়া হবে।

নতুন এই স্কিমে শিল্পের শ্রম ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্সের ওপর ভিত্তি করে এই বাজার প্রবেশাধিকার সুবিধাগুলোকে সম্প্রসারিত করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।

আরও জানা গেছে, বাংলাদেশ ২০০৩ সাল থেকে লিস্ট-ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রি ট্যারিফ (এলডিসিটি) স্কিমের আওতায় কানাডায় সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ভোগ করছে।

এলডিসিটি স্কিম জিপিটির আওতায় পড়ে। জিপিটি স্কিম প্রতি ১০ বছর পরপর নবায়ন করা হচ্ছে। স্কিমটির বর্তমান সংস্করণের মেয়াদ ২০২৪ সালের শেষের দিকে শেষ হবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ১১তম শীর্ষ গন্তব্য ছিল কানাডা। এই বাজারে রপ্তানি হয়েছে ১৭২ কোটি ডলারের পণ্য, যা মোট পণ্য রপ্তানির ৩ দশমিক ১০ শতাংশ।

আগে বছর দেশটিতে রপ্তানি হয় ১৫২ কোটি ডলারের পণ্য। তার মানে গত অর্থবছর রপ্তানি বেড়েছে ১৩ শতাংশের মতো। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে কানাডায় বাংলাদেশি তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৫৪ কোটি ডলার।

এই রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় সাড়ে ১৬ শতাংশ বেশি। বাজারটিতে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৩৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর