আজ আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস

আপডেট: August 30, 2023 |
inbound8571066081250324617
print news

আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস আজ। জাতিসংঘ ২০০২ থেকে কাজ শুরু করে ২০০৬ সালের মাঝামাঝি নাগাদ গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ রচনা করে। ইংরেজিতে এর নাম ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এ সনদ কার্যকর হয়।

২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মানুষদের স্মরণে এবং গুমের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতেই দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। প্রতিবারের মতো বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে বিশেষ বাণী।

বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানিয়েছে, গত দুই বছরে কেউ গুমের শিকার হয়নি। গত বছর পাঁচ জন গুম হয়েছিল, এর মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর একজনকে অপহরণের পর ছেড়ে দেয়া হয়। আর এবার ছয় জন গুম হয়েছিল। এদের সবাই পরে ফিরে এসেছেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্যমতে, লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে ১৯৭০ ও ৮০-র দশকে কেবল অবৈধ অস্ত্র কারবারি ও ভিন্ন মতাবলম্বীরাই গুম হতেন। কিন্তু বর্তমানে নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী, মাদক কারবারি ও মানব পাচারকারীদের মধ্যেও গুমের ঘটনা দেখা যায়।

আসক গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ স্বাক্ষর এবং এ সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে আসক জানিয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪ জন গুমের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং ১১ জন ফেরত এসেছেন। গত পাঁচ বছরে ১১ জন গুম রয়েছেন।

এর আগে ২০০৭ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ৬০৪ জন গুমের শিকার হয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বজনরা অভিযোগ তুলেছেন। এদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে, ৮৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং ৫৭ জন ফেরত এসেছেন। এসব ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবার, স্বজন বা প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন যে, বিশেষ বাহিনীর? র‍্যাব, ডিবি পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের পরিচয়ে সাদা পোশাকে ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের তুলে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার বা আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে।

আসকের দাবি, গুমের শিকার সকল নিখোঁজ ব্যক্তিকে অনতিবিলম্বে খুঁজে বের করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক। প্রতিটি গুমের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করতে হবে। গুম সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ স্বাক্ষর করতে হবে। গুমের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোকে অস্বীকার না করে এ ধরনের ঘটনার বিচার নিশ্চিতে বিদ্যমান আইন কাঠামোতে পরিবর্তন করতে হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর