বাবুগঞ্জ বনকেন্দ্রে আখতারুজ্জামানের ক্ষমতার অপব্যবহার, বদলির দাবী

আপডেট: December 9, 2023 |
inbound3942835433218701691
print news

বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার বাবুগঞ্জ বন কেন্দ্রের বিট কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান এর বিরুদ্ধে সরকারি বন ধ্বংসের অভিযোগ, বদলীর দাবি।

শনিবার সকালে সাংবাদিকদের একটি টিম কুমিরমারা গেলে সাংবাদিক দেখে এলাকাবাসী এই অভিযোগ করেন।

স্থানীয় তৈয়ব আলী বলেন গত কয়েক দিন আগে পটুয়াখালী বনবিভাগের আন্ডারে বাবুগঞ্জ বন কেন্দ্রে যোগদান করে ভিট কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান ।

শুরু হয় জমি দখল ও গাছ কাটার মহা উৎসব। বাবুগঞ্জ বন কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রনাধিন কুমিরমারা বনের গাছ বিক্রি করে, রাতের আধারে গাছকেটে নৌকা ট্রলার যোগে বিভিন্ন ইট ভাটায় নিয়ে যায় ।

inbound8282739725611099348

গাছকাটার প্রতিবাদ করায় আমারা প্রতিবাদ করীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।

শাহজাহান বলেন আমরা কুমির মারা বনের ডিকশনারি এর মধ্যে গরু চড়াই তাও তিনি নিষেধ করে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।

সে তালতলী সহ বিভিন্ন এলাকার জেলেদের কাছে নৌকা তৈরি করার জন্য সরকারি গাছ রাতের আঁধারে গোপনে বিক্রি করে।

inbound2176101798583294451

এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এলাকার লোক হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে ব্যক্তি পক্ষ নেয়,যা নির্বাচন আচরণবিধি বহির্ভূত।

সিদ্দিক বলেন তার ইশারায় ইকবাল ফরেস্টার বাবুগঞ্জ ফিশারি থেকে গোরা পদ্মা পর্যন্ত গোলপাতা নষ্ট করে অসাধু ব্যক্তিদের পক্ষ নিয়ে বাড়িঘর করতে সহায়তা করে।

তাদের কারণে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ,এলাকাবাসী তাকে বরগুনা জেলা থেকে অন্যত্র বদলির দাবি জানান।

এ বিষয় ইকবাল ফরেস্টার বলেন বরগুনা পৌরসভার মেয়র এডভোকেট কামরুল হাসান মহারাজ এর ক্লাস ফ্রেন্ড,তার তো থারাম থাকবেই।

বাবুগঞ্জ বন কেন্দ্রের নব যোগদান কৃত ফরেস্টার আখতারুজ্জামান বলেন আমার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬ নং বুড়িরচর ইউনিয়নে।

আমি সুন্দরবন থেকে আসছি আমার বাড়ি পঞ্চায়েত বাড়ি,আমি কেউকে ভয় পাই না । আমার কেউ কিছু করতে পারবে না।

বন পাহারা দেওয়া ও গাছ কটার দায়িত্ব আমার, যে বেশি বাড়াবাড়ি করবে তার বিরুদ্ধে বন বিভাগ আইনে মামলা দেওয়া হবে।

নিশানবাড়িয়া গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন সে একজন খারাপ প্রকৃতির লোক হিসেবে সবাই বলে।

এ বিষয় উপকূলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালীর ডিএফও মোঃ সফিকুল ইসলাম কে মাবাইল ০১৯৯৯০০১৫৪১ নম্বরে ফোন করলে, তাকে পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত তাকে বরগুনা থেকে বদলি করে এলাকার জনসাধারণকে তার হয়রানি মূলক মামলা থেকে মুক্ত করা।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর