চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ শুরু


মোহাম্মদ রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের মহেশখালীতে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত গ্যাস (এলএনজি) আংশিকভাবে সরবরাহ শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ঘনফুট করে সরবরাহ করা হয়েছে। দুপুর ১২টার পর চট্টগ্রামে সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন পেট্রোবাংলা ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, এলএনজি টার্মিনালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে টার্মিনালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
এর প্রভাবে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল। এদিকে আগে থেকে গ্যাস সংকটে থাকা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংকট আরও বেড়ে যায়। এলএনজি টার্মিনালের কিছু অংশ চালু হলেও পূর্ণ ক্ষমতায় চালু হতে সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, মহেশখালীতে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে আমদানি করা এলএনজি রূপান্তর (রিগ্যাসিফিকেশন) করে পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়। টার্মিনালের মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। অন্যটি সামিট এলএনজি টার্মিনাল।
এই দুটি টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছিল। পাঁচ বছর পরপর এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের (সংস্কার) প্রয়োজন হয়। গত ১ নভেম্বর এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করা হয়।
এ সময় টার্মিনালটি গভীর সমুদ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষে গত বৃহস্পতিবার টার্মিনালটি কয়েকবার চালু করার চেষ্টা করা হলেও গ্যাস সরবরাহ করা যায়নি। অন্যদিকে সামিট এলএনজি টার্মিনালটিও গত বৃহস্পতিবার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে টার্মিনালটিও খালি করা হয়।
তাই গ্যাস সরবরাহও বন্ধ ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এক্সিলারেটের টার্মিনাল চালু করতে না পারায় সমস্যা দেখা দেয়। যার কারণে ব্যাপক দুর্ভোগের সম্মুখীন হন সাধারণ গ্রাহকরা পাশা পাশি শিল্প কারখানার উৎপাদন ও বিঘ্নিত হয়।
সূত্র জানায়, দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। দুই মাস ধরে দিনে সরবরাহ করা হচ্ছিল ২৫০ কোটি ঘনফুটের কম। এর মধ্যে এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ হওয়ায় সরবরাহ ২০০ কোটি ঘনফুটে নেমে আসে।