উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে ত্রি-মুখী

আপডেট: May 4, 2024 |

আসাদুর রহমান, কুষ্টিয়ার প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে নানা নাটকীয়তা পর শেষ সময়ে প্রচার প্রচরণা জমে উঠেছে।

এক ডামি প্রার্থী বাবার পক্ষে, অপর জন ভাবির পক্ষে মাঠে ভোট করছেন। দ্বিধাবিভক্ত বিএনপি নেতারা বিচ্ছিন্ন ভাবে পক্ষ নেওয়ায় আওয়ামী লীগের তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে মূলত প্রতিদ্ব›িদ্বতার সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদের জয়-পরাজয় নিয়ে নানা সমীকরণ চায়ের দোকান, বাস স্ট্যান্ড, রেল ষ্টেশন, নদী পারাপারের ঘাটসহ সর্বত্র।

দিন রাত প্রচার-প্রচারণায় ব্যাস্ত ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার মোটর সাইকেল, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রহিম খান দোয়াত কলম ও যুগ্ন সম্পাদক আল মাসুম মোর্শেদ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

এ ছাড়া আটজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিশাল বিশাল বহর নির্বাচনী মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিস্কৃত জেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ সভাপতি ইসরাত জাহান পুনম পূর্ণদমে প্রচারণায় রয়েছেন।

তিনি অবশ্য টানা তিন বারের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত।

উচ্চ আদালতের স্থগিত আদেশে বাদ পরা চেয়ারম্যান প্রার্থী ওহিদুল ইসলামের স্ত্রী সালেহা বেগম নাছিমা অনেক বিলম্বে হলেও নিজের আনারস প্রতীকের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন।

সালেহা বেগম অবশ্য স্বামীর ডামি হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে ছিলেন। এই প্রার্থীর হয়ে ভোট করছেন তারই দেবর ডামি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম।

আগামী ৮ মে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহন। ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে প্রার্থীদের ব্যায় বাড়ছে তেমনি ভোটের মাঠে উত্তাপও বাড়ছে।

ইতোমধ্যে একজন প্রার্থী কর্মীকে পোষ্টার লাগানোর সময় প্রতিপক্ষ তুলে নিয়ে যায় বলে গনমাধ্যমে অভিযোগ করেছিলেন ওই প্রার্থী।

তারই এক কর্মীকে হুমকীদেওয়ার অভিযোগ করেছেন একই প্রার্থী। শেষ দিকে নগদ টাকা ও পেশী শক্তি চেয়ারম্যান পদের জয়-পরাজয়ের হাতিয়ার হওয়া আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এর পেছনে ত্রি-দ্বিধাবিভক্ত বিএনপি নেতাদের খন্ড খন্ড হয়ে প্রার্থীদের পক্ষ অবলম্বন করার ঘটনাও জড়িত হতে পারে।

পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা শেখ আব্দুল মান্নান মনে করেন, নির্বাচন কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কাঁধে ভরকরা বিএনপি নেতারা দলটির জন্য গলার কাটা হতে পারে।

চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থীর সাথে বিএনপি নেতারা নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছেন। আর এখানেই ঘটেছে বিপত্তি।

বিএনপির নেতাদের ভোটে প্রধান প্রার্থীরা সমানে সমান মনে করছেন নিজেদের। এটা কতটা কার্যকর হবে তা বলা মুশকিল।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মমিনুর রহমান ওরফে মমিন বলেন, বিএনপি কোনো নেতা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সাথে যোগ দেননি।

তবে বিএনপির সাধারণ ভোটাররা সামাজিক ও পারিবারিক কারণে কোন কোন প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন। আর এ কারনেই চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন ত্রি-মুখী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বলেন, বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা থাকলেও থাকতে পারে। তবে অংশ গ্রহন মুলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যা বর্তমান সরকার প্রধান প্রত্যাশা করছেন।

বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের হয়ে ভোট করায় তারা কখনো দলটির জন্য গলার কাটা হতে পারে কী না তা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি উপজেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর